ঠিক এক বছর আগে এই সময়ে উত্তাল ছিল পাহাড়। ১৭ জুন মোর্চার দফতরের কাছে সিংমারিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একাধিক আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার বর্ষপূর্তির চার দিন আগে বিমল গুরুংয়ের সই করা একটি বার্তা সামনে এসেছে। যেখানে বলা হয়েছে, ১৭ জুন শহিদদের স্মরণে বাড়িতে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখুন। প্রকাশ্যে বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও পাহাড়ের পুলিশ-প্রশাসন এর
মধ্যেই গুরুংপন্থীদের কর্মসূচি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে। জিটিএ প্রধান বিনয় তামাং জানিয়েছেন, ওই দিন কেউ প্রদীপ জ্বালাতে পারবে না।
গুরুংয়ের সই করা ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ওই শহিদদের রক্ত বৃথা হতে দেওয়া হবে না। অমর শহিদের মনে রেখেই লড়াই চালাতে হবে।’ জানানো হয়েছে, গুরুং তাঁর শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও লড়াই চালাবেন। বলা হয়েছে, ‘এখন ধৈর্য ধরে বসে থাকার সময়। সবাই একজোট হয়ে অপেক্ষা করুন।’ পাহাড়ে যে এখনও চাপা ক্ষোভ রয়েছে, সেটা মেনে নিয়েছিলেন বিনয়ও। জিটিএ ভোটের প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘‘ছাইচাপা কিছু আগুন রয়েছে। তা না নিভিয়ে ভোটে যাওয়া সম্ভব নয়।’’ গুরুংপন্থী নেতারা যে সেই আগুনে উস্কানি দিতে পারেন, জানিয়েছিলেন সে কথাও।
গুরুংয়ের বার্তা ‘ভুয়ো ও মিথ্যে’ বলে উড়িয়ে দিয়ে বিনয় বলেন, ‘‘এর পিছনে কালিম্পঙের বীরেন ভুজেলের মতো কারও মাথা রয়েছে।’’ তবে পাহাড়ের একাংশের ধারণা, গুরুংয়ের প্রভাব পুরোপুরি ফুরোয়নি। এই কথা মেনে নিচ্ছেন হরকাবাহাদুর ছেত্রীর মতো বিরোধী দলের নেতারাও। তাই সিংমারি-কাণ্ডে মৃত মোর্চা কর্মীদের স্মরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন করে উস্কানি দেওয়ার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়েও দিচ্ছেন না তাঁরা।
পাহাড়ের পুলিশ-প্রশাসনও সে দিকে নজর রাখছে। গুরুংপন্থীদের কর্মসূচি নিয়ে বিশদে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। যদিও প্রকাশ্যে বিনয়ের মতো পুলিশও বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইছে। দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার অখিলেশ চর্তুবেদী বলেছেন, ‘‘কে কোথায় কী ঘোষণা করল, তাতে কী আছে! আমরা এমন কিছু জানি না।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, গুরুংকে বাড়তি গুরুত্ব না দিতেই এই কৌশল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy