পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে দায়ের হওয়ার মামলার শুনানি শেষ। আজ, শুক্রবার বিকেলে ওই মামলার রায় ঘোষণা করবেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি তালুকদার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব নীলাঞ্জন শান্ডিল্যের কাছে জানতে চান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে কমিশন কী পদক্ষেপ করেছে। সচিব জানান, বিরোধীদের অভিযোগ রাজ্য পুলিশের ডিজি, আইজি-কে পাঠিয়ে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। ওই সব অভিযোগ সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদেরও পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বেশ কিছু প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে সরাসরি কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দেন। অনেকেই ই-মেল মারফত মনোনয়ন পাঠান। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় পেরিয়ে যাওয়ায় সেগুলি স্ক্যান করে কম্পিউটারে টাইপ করে সংশ্লিষ্ট এসডিও-র কাছে পাঠানো হয়। আদালতে সচিবের আবেদন, থমকে থাকা নির্বাচন প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত শুরু করা যায় তার ব্যবস্থা হোক। কারণ, বর্ষায় ভোট করা মুশকিল।
রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের পক্ষে সৌরভ দাস এ দিন আদালতে জানান, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করে ভোটের নির্ঘণ্ট ঠিক করতে হয় কমিশনকে। বিভিন্ন স্কুল, কলেজে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র খোলা থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, আবহাওয়ার পূর্বাভাস ইত্যাদি মাথায় রেখে সব কিছুর ব্যবস্থা করতে হয় রাজ্যকে। কাজেই মনোনয়নের মেয়াদ বাড়িয়ে তা প্রত্যাহার না করা হলে ভোট প্রক্রিয়ার উপরে প্রভাব পড়ত।
এ দিন বিজেপি, পিডিএস, কংগ্রেসের প্রতিনিধিদেরও তাঁদের বক্তব্য জানাতে বলেন বিচারপতি তালুকদার। বিজেপির প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিরোধী প্রার্থীরা যাতে নির্ভয়ে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন, সে জন্য প্রয়োজনে কলকাতায় মনোনয়ন জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন কমিশন। পিডিএস নেতা সমীর পূততুণ্ড অভিযোগ করেন, ডায়মন্ড হারবারের এসডিও তাঁকে স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের প্রার্থীদের আত্মরক্ষার ব্যবস্থা নিজেদেরই করতে হবে। বিরোধী প্রার্থীদের কী ভাবে মারধর করে মনোনয়ন পেশে বাধা দেওয়া হয়েছে, তার ভিডিও ফুটেজ দেখার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেন পিডিএস নেতা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী আদালতে জানান, মনোনয়নের মেয়াদ বাড়িয়ে কেন তা প্রত্যাহার করা হল, তার বিশ্বাসযোগ্য কারণ কমিশন দেখায়নি। মনোনয়ন পেশের মেয়াদ বৃদ্ধির নির্দেশ প্রত্যাহারের আগে শুধু তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠক না করে বিরোধীদের সঙ্গেও কমিশন আলোচনা করতে পারত বলে অধীরবাবু জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy