Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

লড়াই জমুক, চান পতাকা বিক্রেতারা

রাজনৈতিক কচকচানি নয়। স্রেফ ব্যবসায় লাভের মুখ দেখতেই ক্যানিং স্ট্রিটের অদূরে চিনা বাজারের রাজেশ সিং, রাহুল গুপ্ত, সুজিত লালেরা জমজমাট লড়াই চাইছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পতাকা, ব্যাজ, মুখোশ, টুপি, টি-শার্ট, উত্তরীয়, ছাতা, এ সব বিক্রি করেন তাঁরা।

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:১৩
Share: Save:

ওঁরাও চান, পঞ্চায়েত ভোটের ময়দানে শাসক-বিরোধীর লড়াই জমে উঠুক।

রাজনৈতিক কচকচানি নয়। স্রেফ ব্যবসায় লাভের মুখ দেখতেই ক্যানিং স্ট্রিটের অদূরে চিনা বাজারের রাজেশ সিং, রাহুল গুপ্ত, সুজিত লালেরা জমজমাট লড়াই চাইছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পতাকা, ব্যাজ, মুখোশ, টুপি, টি-শার্ট, উত্তরীয়, ছাতা, এ সব বিক্রি করেন তাঁরা। অন্যান্য বারের মতো এ বারও দোকানে দোকানে তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস, সকলেই যেন নিশ্চিন্তে মিলেমিশে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সেই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, পসরা সাজানো রয়েছে। কিন্তু দোকানের কর্মীরা প্রায় মাছি তাড়াচ্ছেন। তাঁদের আক্ষেপ, এ বছর এখনও আশা পূরণ হয়নি। রাহুলের দাবি, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের চেয়ে এ বার ব্যবসার হাল খারাপ। জিনিস বিক্রি কমেছে প্রায় ৪০%। তাঁর দোকানে প্রচারের জিনিস কিনতে আসা লক্ষ্মীকান্তপুরের ব্যবসায়ী শ্যামলাল তাঁতিরও মতে, লড়াই বেশি হলে ব্যবসাও বাড়ত।

রাজেশ বলছেন, ‘‘একটা খেলার টুর্নামেন্টে প্রতিযোগিতা না থাকলে হবে?’’ রাহুলের কথায়, ‘‘ভোটে জেতার জন্যই তো প্রার্থীরা প্রচার করেন।’’ লোকসভা বা বিধানসভার মতো বড় মাপের ব্যবসা না হলেও পঞ্চায়েতের ভোটের প্রচারেও ছোট পতাকা, টুপি, মুখোশের মতো জিনিসের চাহিদা থাকে, জানাচ্ছেন তাঁরা।

তবে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষিত হওয়ায় আগামী সপ্তাহ দুয়েক নির্বাচনী প্রচারের সঙ্গে বাড়বে ব্যবসাও, এই আশায় বুক বাঁধছেন তাঁরা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE