Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

নতুন ভবনে কোর্ট চালু শীঘ্রই

নতুন বছরের গোড়ায় দুর্গাপুর আদালতের একাংশের কাজকর্ম চালু হয়ে যাবে নতুন বাড়িতে। সোমবার বর্ধমান জেলা জজ পবনকুমার মণ্ডল নতুন বাড়ির কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন। সঙ্গে ছিলেন দুর্গাপুর আদালতের বিচারকেরা। এই মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। সিটি সেন্টারে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ) কাছে ভাড়া নেওয়া তিন তলা বাড়ির এক তলায় অপরিসর জায়গায় বহু বছর ধরে চলছে দুর্গাপুর আদালত।

আদালতের নতুন ভবন পরিদর্শন। সোমবার দুর্গাপুরে। নিজস্ব চিত্র।

আদালতের নতুন ভবন পরিদর্শন। সোমবার দুর্গাপুরে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:০৬
Share: Save:

নতুন বছরের গোড়ায় দুর্গাপুর আদালতের একাংশের কাজকর্ম চালু হয়ে যাবে নতুন বাড়িতে। সোমবার বর্ধমান জেলা জজ পবনকুমার মণ্ডল নতুন বাড়ির কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন। সঙ্গে ছিলেন দুর্গাপুর আদালতের বিচারকেরা। এই মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

সিটি সেন্টারে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ) কাছে ভাড়া নেওয়া তিন তলা বাড়ির এক তলায় অপরিসর জায়গায় বহু বছর ধরে চলছে দুর্গাপুর আদালত। অভিযোগ, ঘরগুলি আকারে আদালতের কাজ চালানোর উপযুক্ত নয়। আদালতে কাজে আসা মানুষজনের বসার জায়গা নেই। আইনজীবীদের জন্য নির্দিষ্ট ঘরও সংকীর্ণ। সবাই এক সঙ্গে বসতে পারেন না। বারান্দায় বসে সেরেস্তা চালাতে হয় অনেককে। আদালতের এক কক্ষ থেকে অন্য কক্ষে যেতে গেলে রীতিমতো ভিড় ঠেলতে হয়। দীর্ঘদিন ধরেই আদালতের জন্য নির্দিষ্ট ভবন গড়ার দাবি জানিয়ে আসছেন এই আদালতের আইনজীবীরা।

সমস্যা মেটাতে প্রায় এক দশক আগে বর্তমান আদালত থেকে কয়েকশো মিটার দূরে গড়া হয় একটি এক তলা ভবন। কিন্তু সেই বাড়িও আদালত বসানোর জন্য উপযুক্ত নয় বলে অভিযোগ তোলেন আইনজীবীরা। তাঁরা সেখানে আদালত চালু করার বিরোধিতা করেন। দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় বাড়িটি প্রায় পরিত্যক্ত হয়ে যায়। ঝোপঝাড়ে ভরে যায় আশপাশ। এ দিকে, দুর্গাপুর আদালতের কাজকর্ম দিন-দিন বাড়ছে। পুরনো ভাড়া বাড়িতে আর কাজ চালানো যাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত তাই এডিজে এবং সিভিল কোর্টের একাংশ একতলা বাড়িটিতে তুলে আনার উদ্যোগ শুরু হয়।

মাস চারেক আগে পূর্ত দফতর সংস্কার শুরু করে। বাড়িটি রং করা হয়। এজলাস তৈরি হয়। চত্বরে বেড়ে ওঠা আগাছা সাফ করা হয়। পুরনো আদালতের সঙ্গে নতুন এই ভবনের যোগাযোগ সুগম করতে এক দিকের সীমানা পাঁচিল কেটে বড় গেট বসানো হয়। আইনজীবীদের একাংশ আদালতে নিজের-নিজের সেরেস্তার জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করাও শুরু করেন। কিন্তু প্রথম দফায় বাড়িটি সংস্কারের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল, তা পর্যাপ্ত না হওয়ায় বৈদ্যুতিকরণ-সহ আরও কিছু কাজ বাকি রয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের অর্থ মন্ত্রক দ্বিতীয় দফার অর্থ অনুমোদন করার পরে বাকি কাজ শেষ করার উদ্যোগ হয়।

সোমবার জেলা জজ নতুন আদালত ভবনের কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন। জানা গিয়েছে, এই মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। মাসখানেকের মধ্যেই এই ভবনে আদালতের একাংশের কাজ চালু হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে অনুপম মুখোপাধ্যায় বলেন, “আপাতত কিছুটা সুরাহা হবে। তবে অবিলম্বে আদালতের জন্য বড় ভবন গড়ে তোলা দরকার।”

অন্য বিষয়গুলি:

durgapur opening shortly new building court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE