সন্তোষ রায়
দেবশ্রী চৌধুরী।
আসানসোলে তারকা প্রার্থী দাঁড় করালেও জেলার বাকি দুই কেন্দ্রে দলীয় লোকজনের উপরেই ভরসা রাখল বিজেপি। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন সন্তোষ রায়। আর বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন দেবশ্রী চৌধুরী।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯০ সাল থেকেই দলের হয়ে কাজ করছেন সন্তোষবাবু। ১৯৯১ সালে দলের সদস্য হন। বিভিন্ন সময়ে অঞ্চল সভাপতি, ব্লক সভাপতি, জেলা কমিটির সদস্য, জেলা তফশিলি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। জেলা সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। মেমারি পান্না ক্যাম্পে নিজের বাড়ি লাগোয়া একটি কাঠের আসবাবের দোকানও রয়েছে সন্তোষবাবুর। রবিবার ফোনে বলেন, “১৯৫৪ সালে বাবা-মা পূর্ব পাকিস্তান থেকে পান্না ক্যাম্পে চলে আসেন। সব্জি বিক্রি করে সংসার চালাতেন বাবা, আর দাদা ঘুরে ঘুরে জিনিস বিক্রি করতেন।” তাঁর দাবি, সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে অতীতের অভিজ্ঞতায় সিপিএম, তৃণমূল প্রার্থীর চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত একবারই পঞ্চায়েত সমিতির আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন সন্তোষবাবু। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মেমারি ১ ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতির একটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লড়েছিলেন তিনি। তবে সে অভিজ্ঞতা এই ভোটে বিশেষ কাজে লাগবে না বলেই সন্তোষবাবুর ধরণা। তিনি বলেন, “এর থেকে ভিন রাজ্যে দলের হয়ে ভোট করিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেটাই কাজে আসবে।”
বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীও দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে বিজেপির রাজ্য কমিটির সম্পাদক তিনি। কলকাতার বাসিন্দা হলেও বর্ধমান জেলা পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। বিজেপির বর্ধমান জেলা সভাপতি রাজীব ভৌমিক জানান, প্রার্থীর বিষয়ে প্রদেশ সিদ্ধান্ত নেয়। জেলার তরফে প্রার্থী হতে চেয়ে যাঁরা আবেদন করেছিলেন সেগুলি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রাজীববাবু আরও বলেন, “দলীয় প্রতীক আর নরেন্দ্র মোদীকে দেখেই ভোটারেরা মতামত দেবেন। প্রার্থী কে, তাঁর কী অভিজ্ঞতা সেটা বড় ব্যাপার নয়।”
—নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy