পরীক্ষার সাড়ে চার মাস পর বিএ, বিএসসি, বিকম তৃতীয় বর্ষের ফল বেরোলেও পিছু ছাড়ল না বিতর্ক। শুধুমাত্র বিএ’তেই প্রায় ৯ হাজার পরীক্ষার্থীর মার্কশিটে অসম্পূর্ণ বা পার্ট নট ক্লিয়ার্ড (পিওসি) লেখা রয়েছে। অথচ পরীক্ষা নিয়ামকের দফতরে গেলে অন্য ফল দেখা যাচ্ছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও পরীক্ষার্থীদের একাংশের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্মৃ্ৃতিকুমার সরকারের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্রপরিষদ ইউনিট। ইউনিটের সভাপতি দীপক পাত্রের অভিযোগ, দিন দশেক ধরে পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগ ওই মার্কশিট সংশোধন করাচ্ছে। কিন্তু এখনও প্রায় এক হাজার পরীক্ষার্থীর ফল অসম্পূূর্ণ। ইউনিটের সহ সভাপতি সদ্দাম হুসেনের আরও অভিযোগ, “অনেকের মার্কশিটে নাম, রোল নম্বরও ভুল ছাপা হয়েছে।” কয়েকজন পড়ুয়া যে বিষয়ে পরীক্ষা দেননি, সেই বিষয়েরও নম্বর পেয়েছেন মার্কশিটে। মার্কশিটের এই খাম-খেয়ালীপনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে গতবার যাঁদের পার্ট ক্লিয়ার হয় নি, সেই সব পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে। পড়ুয়াদের একাংশ জানালেন, ভুলে ভরা মার্কশিট দিয়ে তাঁরা বাইরের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিও হতে পারছেন না।
রাজ কলেজের বিএসসি তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া প্রিয়া দে’র বলেন “গত ১৪ অগস্ট ফল প্রকাশের দিনে আমি পাশ করতে পারিনি বলে জানতে পারি। কিন্তু পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে দেখি ভালোভাবেই পাশ করেছি। এখন পরিবর্ত মার্কশিটের জন্য গত দু’সপ্তাহ ধরে পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগে আসছি। কিন্তু কোনও লাভ হচ্ছে না।” উপাচার্য স্মৃ্ৃতিকুমারবাবু বলেন “সমস্যা নিয়ে পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy