পোড়া আসবাব, জিনিসপত্রই নিয়ে যাচ্ছেন কাটোয়া রেল কলোনির ওই বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র।
আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যে দমকল এসে গিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু দাউদাউ করে জ্বলা বাড়িগুলোয় জলই দিতে পারেনি তারা। শেষমেশ, পাশের রেল ট্যাঙ্কির উপচে পড়া জল, আর বাসিন্দাদের টেনে আনা দলেই প্রাথমিক ভাবে পরিস্থিতি আয়ত্বে আসে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাটোয়া রেল কলোনির বস্তিবাসীদের অভিযোগ এমনটাই।
তাঁদের ক্ষোভ, দমকলের গাড়িতে পর্যাপ্ত জল ছিল না। নাহলে সর্বস্ব পোড়ার হাত থেকে হয়তো রেহাই মিলত। ওই রাতে দমকলের গাড়িতে ভাঙচুরও চালান তাঁরা। যদিও দমকলের আধিকারিকদের দাবি, গাড়িতে যথেষ্ট জল ছিল। কিন্তু ওই এলাকা এতটাই ঘিঞ্জি যে দমকলের গাড়ি ভেতরে ঢুকতেই পারেনি। ফলে বালতি করে জল এনেই ব্যবস্থা নিতে হয়। রাতে এলাকায় যান বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ও পুরপ্রধান অমর রাম। ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রিপল, কাপড়, চাদর দেওয়া হয়।
শুক্রবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া ঘরবাড়ির মধ্যেই আতিপাতি করে খোঁজ চালাচ্ছেন বস্তির বাসিন্দারা। আলমারি, ট্রাঙ্কে রাখা জরুরি জিনিস কিছু গোটা আছে কি না সেদিকেই নজর তাঁদের। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছ পোড়া সাইকেল, আসবাব, বিছানা। পড়ে রয়েছে রান্নাঘরের জিনিস, চালও। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের রেল কলোনি বস্তির লক্ষ্মী সাহার বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লেগে যায়। লক্ষ্মীদেবী বা তাঁর পরিবারের কেউ অবশ্য তখন ঘরে ছিলেন না। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পাশের কানাই দেবনাথ, পূজা দাস, সাহেব সরকার, খোকন দাসবৈরাগ্য, ময়না দেবনাথের বাড়িতে। কেউ কেউ জরুরি জিনিসপত্র নিয়ে বেরোতে পারলেও বিছানা, আসবাব পুড়ে যায় অনেকেরই। জখমও হন কয়েকজন। দমকলে খবর পৌঁছলে গাড়ি এসে যায়। কিন্তু গাড়িতে জল ছিল না অভিযোগ বাসিন্দাদের। ফলে বস্তির পাশের রেল ট্যাঙ্কির জলেই আগুন নেভানোর কাজ চলে। স্থানীয় পূজাদেবী, ময়নাদেবীদের দাবি, যে ট্যাঙ্কির জল সারাক্ষণ উপচে পড়ে বলে বিরক্ত হন তাঁরা, এ দিন সেটাই প্রাণ বাঁচাল। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি দমকল সঞ্জয় ভট্টাচার্য জানান, গাড়িতে জল ছিল। তবে এলাকা অত্যন্ত ঘিঞ্জি হওয়ায় পর্যাপ্ত জল দেওয়া সম্ভব হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy