এক স্কুলছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হল মন্তেশ্বরের মামুদপুরে। পুলিশ জানায়, মৃত জেসমিন খাতুনের (১৬) এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। রবিবার একটি ঘরে ওড়নার ফাঁসে তার ঝুলন্ত দেহ মেলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই ছাত্রীকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে একটি ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন মেয়েটির বাবা আরমান শেখ, মা তহরুন বিবি ও ভাই রাকেশ শেখ। অন্য ঘরে ছিল মামুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী জেসমিন। সকালে পরিবারের লোকজন মাটির ঘরে উঁচু একটি বাঁশে তার দেহ ঝুলতে দেখেন। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, জেসমিনের পরিবারের এক জনের সঙ্গে প্রতিবেশী এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। ওই যুবকের বাড়িতে আনাগোনা নিয়ে আপত্তি তুলেছিল মেয়েটি। এমনকি, প্রতিবেশীদেরও বিষয়টি জানিয়ে সে হস্তক্ষেপ চেয়েছিল।
গ্রামবাসীর একাংশের দাবি, এর জেরে পরিবারের সদস্য ওই মহিলা ও ওই যুবকের রোষে পড়ে মেয়েটি। এর জেরেই তাকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা থাকহরি ঘোষের অভিযোগ, ‘‘বাড়ির এক সদস্যের এমন কান্ড মেনে নিতে পারেনি জেসমিন। বারবার প্রতিবাদ করেছিল। আমাদের ধারণা, বিবাহ বহির্ভূত ওই সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় তাকে খুন হতে হয়েছে। পুলিশ যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়, সেই আর্জি জানানো হয়েছে।’’
এলাকায় নানা অসামাজিক কাজকর্ম বাড়ছে বলেও অভিযোগ স্থানীয় মানুষজনের। তাঁরা জানান, মাস দেড়েক আগে ইচু গ্রামে এক বধূকে বাড়ির মধ্যে কুপিয়ে খুন করে পালায় দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। সম্প্রতি মাঝেরগ্রাম এলাকায় পরপর পাঁচটি মন্দিরে চুরি হয়। এক্ষেত্রেও এখনও কোনও কিনারা হয়নি। মন্তেশ্বরের বাসিন্দা হুমায়ুন শেখের কথায়, ‘‘এ ভাবে চলতে থাকলে দুষ্কৃতীদের সাহস আরও বেড়ে যাবে। ফল ভুগতে হবে সাধারণ মানুষকে।’’ পুলিশের অবশ্য আশ্বাস, সব ক’টি ঘটনারই তদন্ত চলছে। শীঘ্রই কিনারা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy