Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

মঙ্গলকোটের ডালিম খুনে ধৃত ২

সিআইডি সূত্রের খবর, রবিবার রাতের দিকে সাদ্দাম শেখ ও ফারুক শেখ নামে ওই দু’জনকে গাজিয়াবাদ থেকে ধরা হয়। সাদ্দামের বাড়ি কাটোয়ার গড়াগাছায়, ফারুকের বাড়ি মন্তেশ্বরের কুলুট গ্রামে। তবে হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত— রহমতুল্লা চৌধুরী ও জেলা পরিষদ সদস্য বিকাশ চৌধুরী এখনও অধরা।

ডালিম শেখ।

ডালিম শেখ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৭ ০২:২০
Share: Save:

মঙ্গলকোটের দলীয় নেতা ডালিম শেখের খুনে অভিযুক্ত কেউই যেন কোনও ভাবে ছাড় না পায়, পূর্ব বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে সেই বার্তাই দিয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই মামলায় ইতিমধ্যেই তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে সিআইডি। আর তার ঠিক দু’সপ্তাহের মধ্যেই আরও দু’জনকে উত্তর প্রদেশ থেকে ধরল তারা। এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হল এই মামলায়।

সিআইডি সূত্রের খবর, রবিবার রাতের দিকে সাদ্দাম শেখ ও ফারুক শেখ নামে ওই দু’জনকে গাজিয়াবাদ থেকে ধরা হয়। সাদ্দামের বাড়ি কাটোয়ার গড়াগাছায়, ফারুকের বাড়ি মন্তেশ্বরের কুলুট গ্রামে। তবে হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত— রহমতুল্লা চৌধুরী (বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর ভাই) ও জেলা পরিষদ সদস্য বিকাশ চৌধুরী এখনও অধরা।

সপ্তাহ তিনেক আগে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন তৃণমূলের শিমুলিয়া অঞ্চল সভাপতি সানাউল্লা শেখ ওরফে ডালিম। নিহতের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই ওই খুন।

পুলিশের দাবি, মোসাম্মদ শেখ নামে এক ভাড়াটে খুনি গুলি চালিয়েছিল। তাকে বরাত দিয়েছিল কাটোয়ার কবীর হোসেন। কবীর এলাকার এক প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠ বলেও দাবি করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই কবীর ও মোসাম্মদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সিআইডি সূত্রের দাবি, গত দিন দশ-পনেরো ধরে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের লুনি এলাকায় একটি ভেড়ির কাছে লুকিয়েছিল সাদ্দাম শেখ ও ফারুক শেখ। তাদের মোবাইলের ‘টাওয়ার লোকেশন’ দেখে সিআইডি গাজিয়াবাদ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। রবিবার ওই ভেড়ির কাছে একটি পোড়ো বাড়ির খোঁজ পান গোয়েন্দারা। সেই বাড়ির দোতলার ঘরেই ছিল দু’জন। গোয়েন্দাদের দাবি, এক বন্ধু মারফত ওই আস্তানায় ঠাঁই পেয়েছিল সাদ্দাম ও ফারুক।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ফারুকের বাড়ি মন্তেশ্বরের সোনাডাঙায়। তবে কুলুট গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে থাকত সে। পুলিশের দাবি, ব্যবসার কাজে দিল্লিতে যাতায়াত এবং যোগাযোগ ছিল ফারুকের। দিল্লিতে আর্থিক প্রতারণার মামলাও রয়েছে তার নামে। ধৃতদের সোমবার গাজিয়াবাদ আদালতে হাজির করানো হলে চার দিনের ‘ট্রানজিট রিমান্ড’ দেওয়া হয়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE