প্রতীকী ছবি।
দিন কয়েক আগে চাকরি দেওয়ার নামে নদিয়ার তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ ঘিরে সরগরম হয়েছে রাজ-রাজনীতি। এ বার একই অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের ঝিলু ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে প্রায় ৮৩ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় তৃণমূল উপপ্রধান শেখ হেকমত আলিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তাপসের বিরুদ্ধে যেমন নিজের ভাগ্নের কাছ থেকেও টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল, তেমনই হেকমতের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, নিজের জামাইয়ের সঙ্গেই প্রতারণা করেছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, বীরভূমের কীর্ণাহার থানার সরডাঙা গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ বদরুদোজ্জা গত মঙ্গলবার মঙ্গলকোট থানায় হেকমতের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর হেকমতের মেয়ের সঙ্গে তাঁর ছেলে মহম্মদ গোলাম জামিমের বিয়ে হয়। এর পর থেকে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জামিমের থেকে মোটা টাকা নেন হেকমত। কিন্তু কোনও চাকরির ব্যবস্থা করতে পারেননি তিনি। অভিযোগ, টাকা চাইলেও তা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন হেকমত। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে শেষমেশ পুলিশের দ্বারস্থ হন বদরুদোজ্জা। তাঁর দাবি, ‘‘চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত ১২ জনের কাছ থেকে প্রায় ৮৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন হেকমত।”
এই অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই মঙ্গলবার রাতে তাঁর বাড়ি থেকে হেকমতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার তাঁকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে তোলা হলে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর। ওই কাণ্ডে বুধবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী (বর্তমান শিল্পমন্ত্রী) পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এ নিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল। কিছু দিন আগেই বিধায়ক তাপসের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় তাঁর ‘আপ্তসহায়ক’ গ্রেফতার হয়েছেন। সেই আবহে আবার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় তৃণমূলকে বিঁধতে শুরু করেছেন বিরোধীরা।
জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রতারণা, কাটমানি, তোলাবাজি— তৃণমূলের নেতারা তো এ সবই করে থাকেন। নিজের আত্মীয়স্বজনদেরও রেহাই দেন না ওঁরা। পুলিশ উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বিজেপি।’’
যদিও মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy