গাছের নীচে ‘মাস্ক’, সামাজিক দূরত্ব ছাড়াই চলছে খেলাধুলো, আড্ডা। কাটোয়ার শ্রীখণ্ড গ্রামে। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যের যে তিনটি জেলায় (অন্য দু’টি কোচবিহার ও ঝাড়গ্রাম) একটিও গণ্ডিবদ্ধ এলাকা নেই শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত, তার মধ্যে অন্যতম পশ্চিম বর্ধমান। তবে তার পরেও সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন।
পশ্চিম বর্ধমানের লাগোয়া বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূমে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা রয়েছে। পশ্চিম বর্ধমানের সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের রাজ্য-সীমানাও রয়েছে। ফলে, সীমানা দিয়ে প্রতিনিয়ত ভিন্-রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিক-সহ আরও অনেকেই পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছেন। সেই সঙ্গে রাজস্থানের কোটা থেকে পড়ুয়াদের নিয়ে প্রাথমিক ভাবে এই জেলাতেই এসেছিল বাসগুলি। তার পরেও কী ভাবে এই জেলাকে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা-মুক্ত রাখা গেল? জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর, পুলিশ ও প্রশাসন সতর্ক ভাবে কাজ করেছে। এ ছাড়া, জনসাধারণও সতর্কতাবিধি মেনে চলছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা ঠিক সময়ে এলাকাভিত্তিক খোঁজখবর করে পদক্ষেপ করেছেন।’’ আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুকেশকুমার জৈনও বলেন, ‘‘পুলিশ-প্রশাসন ও জেলাবাসীর মধ্যে যোগাযোগের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। সংক্রমণের খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত জীবাণুনাশক ছড়ানো হয়েছে।’’
পাশাপাশি, প্রশাসনের দাবি, করোনা-সংক্রমিত কারও হদিস মিললে দ্রুত তাঁকে কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা লোকজনের তালিকা দু’ঘণ্টার মধ্যে করে ফেলে তাঁদের ‘আইসোলেশন’-এর ব্যবস্থা করা গিয়েছে। পুলিশের দাবি, দোকান-বাজার নির্দিষ্ট সময়ে খোলা-বন্ধ করা, দোকানে জটলা অনেকাংশে রুখতে পারাও করোনা-পরিস্থিতির মোকাবিলায় অনেকটাই কাজে এসেছে।
পাশাপাশি, এ দিনই খানিকটা হলেও চিন্তা বাড়িয়েছে রানিগঞ্জ ব্লক। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস হালদার জানান, বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, রানিগঞ্জে ন’জন মহিলা ও পাঁচ জন পুরুষ করোনা আক্রান্ত। ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বল্লভপুর, এগারা পঞ্চায়েত এলাকা এবং রানিগঞ্জ পুর-এলাকায় এই সংক্রমিতদের খোঁজ মিলেছে। তাঁদের বয়স ১৭ থেকে ৬২ বছর। দেবাশাসিসবাবু বলেন, ‘‘এক জনকে ইতিমধ্যেই কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিদেরও করানো হবে।’’
করোনা-পরিস্থিতির মোকাবিলায় শুক্রবার একটি পর্যালোচনা প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছে। বৈঠক শেষে জেলাশাসক বলেন, ‘‘এ পর্যন্ত যে সাফল্য, তা কোনও শ্লাঘার বিষয় নয়। পরিস্থিতি যে কোনও মুহূর্তে বদলাতে পারে। আরও সতর্ক হতে হবে। শনিবার আমি ও পুলিশ কমিশনার রানিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করব। প্রয়োজনে আরও কড়াকড়ি হবে।’’ পাশাপাশি, রানিগঞ্জের কুমারবাজার এলাকাটিতে প্রশাসনের বিশেষ নজর রয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy