বর্ধমান শহরের একটি দোকানে শনিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
ছানার দাম রয়েছে আয়ত্তের মধ্যে। জামাইদের প্লেট ভরাতে তাই নানা রকম মিষ্টি নিয়ে তৈরি জেলার মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।
কেউ তৈরি করেছেন কেশর সন্দেশ। কেউ আবার নিয়ে এসেছেন জামাইষষ্ঠী লেখা বিশেষ সন্দেশ। বর্ধমান থেকে কালনা, হরেক রকম মিষ্টিতে ভরে উঠেছে দোকানের শো-কেস।
বর্ধমানের বিসি রোড, আরবি ঘোষ রোড, বড় বাজারের মিষ্টির দোকানগুলিতে শনিবার ঘুরে দেখা গিয়েছে, অন্য দিনের তুলনায় এ দিন দামের তেমন হেরফে হয়নি। বর্ধমান মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য তপনকুমার নাগ বলেন, ‘‘কাঁচা মালের জোগান ভাল থাকায় এ বার মিষ্টির দাম বাড়াতে হয়নি।’’ তবে জমাইষষ্ঠী উপলক্ষে বিশেষ ধরণের চার ধরনের সন্দেশ বানানো হয়েছে। সেগুলির দাম ১০, ১৫, ২০ ও ৩০ টাকা। ৩০ টাকার স্পেশ্যাল সন্দেশে জামাইষষ্ঠী লেখা থাকছে। এ ছাড়া কাশ্মীরি পোলাও ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মিষ্টি ব্যবসায়ীরা জানান, এ বার কিলোগ্রাম প্রতি ছানার দাম ১১০-১২০ টাকা। এই গরমে দুধ ও ক্ষীরের তৈরি মিষ্টি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই অনেকেই কড়া পাকের মিষ্টি তৈরির দিকে নজর দিয়েছেন। কালনার সাহু সরকার মোড়ের একটি দোকানে যেমন বিশেষ আইটেম হিসেবে তৈরি করা হয়েছে নানা সাইজের জলভরা সন্দেশ। দাম ১০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া রয়েছে ম্যাঙ্গো পিকেল, সোহাগ, পানিফল, ক্যাডবেরি লাড্ডু, মোতিচুর বরফি, বাটার রোল-সহ অন্তত ৫০ ধরনের সন্দেশ। মিষ্টি ব্যাবসায়ী দেবাশিস সাহার দাবি, দুধের তৈরি মিষ্টির পরিমাণ এ বার কিছুটা কমলেও দইয়ের চাহিদা রয়েছে প্রচুর।
কালনার দোকানে মিষ্টির পসরা।
কালনার নিভুজি মোড় লাগোয়া একটি দোকানের মালিক দেবরাজ বারুই জানান, গরমের কারণে চাহিদা থাকায় এ বার চার কুইন্টালেরও বেশি দই তৈরি করা হয়েছে, যা গত বারের থেকে দ্বিগুণ। এই দোকানে ক্ষীরের পান্তুয়া তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে বাদাম বরফি, কেশর সন্দেশ, কোক সন্দেশ ইত্যাদি। এই দোকানের মিষ্টির মূল কারিগর অশোক বারুইয়ের কথায়, ‘‘এক-এক ধরনের মিষ্টি এক-এক রকম ভাবে সাজানো হয়েছে। আশা করি জামাইয়েরা খুশি হবেন।’’ শহরের বৈদ্যপুর মোড়ের একটি মিষ্টির দোকানে মালিক বিকাশ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘শৌখিন মিষ্টির সঙ্গে ট্র্যাডিশনাল মিষ্টিরও ক্রেতাও কম নেই। তাই রসগোল্লা, পান্তুয়া রাখতেই হচ্ছে।’’
তবে হরেক রকম মিষ্টি নিয়ে বসলেও শনিবার বিকেল পর্যন্ত মিষ্টির দোকানগুলিতে ক্রেতার সংখ্যা ছিল তুলনায় কম। রবিবার সকালে চিত্রটা পাল্টে যাবে, আশায় ব্যবসায়ীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy