ফাইল চিত্র।
উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করে বর্ধমান কলেজে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ফলপ্রকাশের পর চুরমার হয়ে গিয়েছে সেই স্বপ্ন। পরীক্ষায় পাশ করানোর দাবিতে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে অবস্থান বিক্ষোভেও অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। এক পর বুধবার ঘর থেকে উদ্ধার হল তরুণীর ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের দাবি, পরীক্ষায় পাশ করতে না পারার হতাশ থেকেই হয়তো আত্মহত্যা করেছেন মেয়ে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম রাজিয়া খাতুন। পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা কলেজ মো়ড় এলাকার বাসিন্দা তিনি। বাড়িতে রয়েছেন বাবা মুজিবুর শেখ, মা রাজেমা শেখ আর দুই ভাই। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, এক মাত্র মেয়ে রাজেয়া এ বার গুসকরা বালিকা বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ফল ঘোষণার পর দেখা যায়, ইংরেজি-সহ দু’টি বিষয়ে পাশ করতে পারেনি রাজিয়া।
কাঁদতে কাঁদতে মৃতার মা রাজেমা বলেন, ‘‘পরীক্ষার রেজাল্ট বের হওয়ার আগে পর্যন্ত মেয়ে বলত, পাশ করার পর ও বর্ধমানের কলেজে ভর্তি হবে। পরীক্ষায় পাশ করতে না পারায় প্রচণ্ড ভেঙে পড়েছিল মেয়ে।’’ মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখেই স্বামী মুজিবুরকে খবর দিয়েছিলেন রাজেমা। এর পর পড়শিদের ডেকে এনে রাজিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মুজিবুর বলেন, ‘‘সকালে যখন কাজে বেরোচ্ছিলাম, দেখলাম মেয়ে পড়াশোনা করছে। পরে খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি, মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরীক্ষায় পাশ করতে না-পারায় হতাশায় ভুগছিল। তবে এমন করবে ভাবিনি।’’ এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy