প্রতীকী ছবি।
যে মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক, সে অন্য একজনকে ভালবাসে— জানার পর থেকেই মুষড়ে পড়েছিলেন ছাত্রটি। বাড়ির লোক বহুবার বোঝালেও লাভ হয়নি। সম্পর্কের আঘাত ভুলতে পারেননি তিনি। বৃহস্পতিবার যখন এক বন্ধুর কাছ থেকে খবর পেয়ে তাঁর ঘরের দরজা ভাঙা হল তত ক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ঘরের ঠিক মাঝখানে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিল ২১ বছরের কলেজ পড়ুয়ার দেহটি। পড়েছিল তিন পাতার একটি সুইসাইড নোটও। হতবাক পরিবার জানিয়েছে, একটা সম্পর্কের জন্য যে ছাত্রটি আত্মহত্যার পথ বেছে নেবে তা ভাবতেই পারেনি তারা।
পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার ওড়গ্রামের হাটতলার ঘটনা। ছাত্রটির নাম শুভজিৎ দাস। বয়স ২১। তিনি গুসকরা কলেজের স্নাতক স্তরের ছাত্র। বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের সকলের সঙ্গে বসে খাওয়া দাওয়া করার পর নিজের ঘরে গিয়ে খিল দিয়েছিলেন তিনি। তারপরে তিন পাতার সুইসাইড নোট লিখে তনি পোস্ট করেন ফেসবুকে। রাত পৌনে ১টা নাগাদ সেই পোস্ট দেখে শুভজিতের বাড়িতে ফোন করেন তাঁর এক বন্ধু। তারপরেই তাঁর ঘরের দরজা ভাঙেন শুভজিতের বাড়ির লোক এবং পড়শিরা। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে। শুভজিতের পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, প্রেমে আঘাত পেয়েই আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
শুভজিতের মেসোমশাই সীতারাম নাগ জানিয়েছেন, ওড়গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন শুভজিৎ। পরে ওই তরুণী অন্য এক যুবকের প্রেমে পড়েন। ঘটনাটি জানতে পেরে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন শুভজিৎ। গত কয়েকদিন ধরে একটু বেশিই চুপচাপ ছিলেন তিনি। তবে তিনি আত্মহত্যা করবেন তা বুঝতে পারেননি বাড়ির কেউই।
বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রকে উদ্ধার করার পর অবশ্য হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁর পরিবার। হাসপাতালে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরে ময়নাতদন্তও করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy