ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
আচমকা ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁকসা, গলসি ও আউশগ্রামের বেশ কিছু এলাকা। শুক্রবার বিকেলের ঝড়ে কোথাও ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে, কোথাও মাটির দেওয়াল ভেঙেছে, পড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। রাস্তায় উল্টে যায় লরিও। রাত পর্যন্ত নানা এলাকা ছিল বিদ্যুৎহীন। শনিবার প্রশাসনের কর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত নানা জায়গা পরিদর্শনে যান।
শুক্রবার বিকেলে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড় শুরু হয়। কিছু জায়গায় শিলাবৃষ্টিও হয়। পানাগড়ে বেশ কয়েকটি মাটির বাড়ির চাল উড়ে যায়। পড়ে যায় মাটির দেওয়ালও। কাঁকসায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দু’টি খড় বোঝাই লরি উল্টে যায়। নানা জায়গায় গাছ পড়ে যায়। এ সবের জেরে বেশ কিছুক্ষণ পানাগড় বাইপাসের একাংশে যানজট হয়।
কাঁকসা ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পানাগড়ে গোটা পাঁচেক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সব বাসিন্দার জন্য ত্রিপল-সহ ত্রাণ সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধু কাঁকসা নয়। গলসি ১ ব্লকের বুদবুদ গ্রাম, তিলডাঙা, মাড়ো, গোপালনগর, সাধুনগর-সহ বিভিন্ন গ্রামে বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। মাড়ো গ্রামের রাসুদাস বৈরাগ্য, নজরুল শেখরা জানান, তাঁদের মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় জানান, এলাকায় বেশ কিছু জায়গা থেকে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে। ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
গলসি ২ ব্লকেও বেশ কিছু বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। কোথাও রান্নাঘরের চাল উড়ে গিয়েছে। কারও গোয়ালঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আউশগ্রাম ২ ব্লকের দেবশালা পঞ্চায়েতে বেশ কিছু এলাকায় আলুর খেত, সরষে খেতে বৃষ্টিতে জল জমে যায়। চাষিদের আশঙ্কা, ফের বৃষ্টি হলে আলু, সরষে মাঠে নষ্ট হয়ে যাবে। তবে এই বৃষ্টি বোরো ধানের পক্ষে ভাল বলে মত চাষিদের। শনিবার সকালে আউশগ্রাম ২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন আধিকারিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy