সৎমেয়েকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।
প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দিয়ে দিনের পর দিন নাবালিকা মেয়ের উপর যৌন নিপীড়ন চালাতেন সৎবাবা। স্বামীর বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন স্ত্রী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের বাড়ি মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। নাবালিকা কন্যাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে প্রেক্ষিতে সৎবাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। রবিবার ধৃতকে কালনা মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্তের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানা এলাকায়। রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন তিনি। বাড়িতে প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও তাঁর তিন মেয়ে রয়েছে। তিন বছর আগে নির্যাতিতার মায়ের সঙ্গে আলাপ কলকাতার বড়বাজারে। কিছু দিন পর নাবালিকার মাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। এর পর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে ওই মহিলাকে বিয়ে করেন। এর পর ছ’মাস আগে কালনা থানা এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু কাজের সূত্রে স্ত্রী বাড়ির বাইরে গেলেই সৎমেয়েকে তিনি যৌননিগ্রহ করতেন বলে অভিযোগ। গত তিন মাস ধরে নিজের যন্ত্রণার কথা মাকে বলতে গিয়ে বার বার হুমকির মুখে পড়ে নাবালিকা। প্রাণের ভয়ে সিঁটিয়ে থাকত ১৫ বছরের কিশোরী। কিন্তু সৎবাবার এই অত্যাচার আর সহ্য করতে পারেনি সে। গত শুক্রবার মাকে সব খুলে বলে সে। এর পরই স্বামীর বিরুদ্ধে কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা।
কালনার এসডিপিও সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েই পুলিশ মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy