বন্ধ পড়ে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র। ছবি:বিকাশ মশান
• দিন-দিন বেড়ে চলেছে গোপালপুর, বামুনাড়া এলাকা। অনেক নতুন আবাসন তৈরি হচ্ছে। কিন্তু পানীয় জলের তীব্র সমস্যা রয়েছে এলাকায়। গোপালপুরে একটি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জলের ট্যাঙ্ক থাকলেও তা গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের সমস্যা মেটাতে পারছে না।
জয়গোপাল চট্টরাজ বামুনাড়া
প্রধান: জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে এই এলাকায় নতুন একটি জলের ট্যাঙ্ক তৈরির জন্য বারবার আবেদন করা হয়েছে। বামুনাড়া এলাকায় জলের প্রকল্পের জন্য আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদকে জানানো হয়েছে।
• এই পঞ্চায়েত এলাকার অন্যতম বড় সমস্যা জঞ্জাল ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকা। ফলে, যত্রতত্র নোংরা পড়ে থাকে। এলাকায় একটি বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র থাকলে আবর্জনা থেকে রেহাই মেলে।
নিরঞ্জন হালদার গোপালপুর
প্রধান: বান্দরা গ্রামের পাশে একটি বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের কাজ হয়েছে। কিন্তু আইনি জটিলতায় সেটি চালু করা যায়নি। আইনি সমস্যা মিটে গেলে সেটি চালু করা হবে।
• রাজবাঁধ থেকে গোপালপুর গ্রাম হয়ে হাইস্কুল যাওয়ার রাস্তা বেহাল। বহু বছর রাস্তাটির কোনও সংস্কার হয়নি। এই রাস্তা সংস্কারের দাবি নিয়ে আগে বহু বার স্থানীয় বাসিন্দারা অবরোধ-বিক্ষোভও করেছেন। কিন্তু এখনও হাল ফেরেনি।
ত্রম্বক চট্টরাজ গোপালপুর
প্রধান: রাস্তাটি জেলা পরিষদের আওতায় রয়েছে। জেলা পরিষদকে জানানো হয়েছে।
• গোপালপুর পঞ্চায়েতে বেশ কয়েকটি আদিবাসী গ্রাম রয়েছে। যেগুলিতে উন্নয়নের হার খুব কম। ভাল রাস্তা নেই, অনেকের বাড়ি ভেঙে পড়ছে। সেই সব গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে। রাস্তার হালও ফেরানো দরকার।
উৎপল ঘোষ কেশবপুর
প্রধান: যাদের ভাল বাড়িঘর নেই, তাঁদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজানার মাধ্যমে বাড়ি দেওয়ার জন্য তালিকা পাঠানো হয়েছে। গ্রামের রাস্তাগুলির হাল ফেরাতে নানা উদ্যোগ হয়েছে।
• মুচিপাড়া থেকে আড়া শিবতলা পর্যন্ত রাস্তার পাশে নানা আবাসন গড়ে উঠছে। বসতিও বাড়ছে। কিন্তু সমস্যা নিকাশির। এই এলাকায় একটি বড় নর্দমার প্রয়োজন, যাতে এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যা অনেকটা মিটে যায়।
বিকাশ রায় বামুনাড়া
প্রধান: এই এলাকায় বড় নর্দমার জন্য এডিডিএ-র কাছে আগে আবেদন করা হয়েছিল। নতুন চেয়ারম্যানের কাছেও আবেদন করা হবে।
•গোপালপুর গ্রামে বেশ কিছু পুরনো মন্দির রয়েছে। যেগুলি সংস্কারের অভাবে ভেঙে পড়ছে। পুরনো ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে সেগুলির সংস্কার প্রয়োজন।
জগদীশ হালদার গোপালপুর
প্রধান: মন্দির সংস্কারের জন্য পঞ্চায়েতের কোনও তহবিল নেই। আমরা দেখছি, অন্য কোনও জায়গা থেকে তহবিল জোগাড় করে ব্যবস্থা করা যায় কি না।
• গোপালপুর গ্রামে একটি কমিউনিটি সেন্টার দীর্ঘদিন অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। গ্রামে আর কোনও কমিউনিটি সেন্টার নেই। ওই সেন্টার চালু হলে সুবিধে হবে।
গৌতম দেবনাথ গোপালপুর
প্রধান: টাকা না থাকার জন্য সেন্টারটি পুরো শেষ করা যায়নি। এটি সাংসদ তহবিল থেকে গড়া হচ্ছিল। আবার নতুন করে তহবিল এলে সেটি শেষ করা হবে।
• গোপালপুর থেকে সারেঙ্গা হয়ে কেশবপুর যাওয়ার রাস্তাটি মোরামের। অথচ, এই রাস্তা দিয়ে সারা দিনই প্রচুর গাড়ি যাতায়াত করে। ফলে, রাস্তাটি বেহাল হয়ে যাচ্ছে। এটি পাকা করার ব্যবস্থা করলে অনেক মানুষেরই যাতায়াতে সুবিধা হবে।
রাজু দাস সারেঙ্গা
প্রধান: রাস্তাটি তৈরি করতে খরচ অনেকটাই বেশি। পঞ্চায়েতের পক্ষে রাস্তাটি পাকা করার জন্য এডিডিএ-কে জানানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy