—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাস্তার মধ্যে আচমকা এক পক্ষ অন্য পক্ষের দিকে তেড়ে গেল লাঠিসোঁটা নিয়ে। চলল ব্যাপক মারধর। পরিস্থিতি এমনই যে ভয় পেয়ে পথচলতি মানুষরা এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করলেন। থমকে গেল যানবাহন। বিজেপির দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ের এমনই ছবি দেখা গেল পূর্ব বর্ধমানের কালনার নিভুজি মোড়ে। মারামারিতে একই দলের দুই পক্ষেরই বেশ কয়েক জন জখম হয়েছেন। কাউকে কাউকে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুরো ঘটনায় তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা বিজেপি।
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প চালুর দাবি-সহ রাজ্য সরকারের নানা ‘দুর্নীতি’র প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে কালনার নিভুজি মোড় থেকে পদযাত্রা করেন বিজেপি নেতৃত্ব। একই জায়গা থেকে আর এক দল বিজেপি নেতা-কর্মী দলেরই জেলা সভাপতি পদ থেকে গোপাল চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণের দাবি তুলে তাঁর কুশপুতুল পোড়ানোর জন্য জড়ো হন। সেই সময় দলেরই আর এক গোষ্ঠী আক্রমণ করলে আচমকা ওই ‘কর্মসূচি’ রণক্ষেত্রের আকার নেয়। শুরু হয় মারামারি। দলীয় পতাকা লাগানো লাঠি নিয়ে একে অন্যের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায় বিজেপি কর্মীদের। রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। বেশ কিছু ক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
কী কারণে এই মারামারি এবং দ্বন্দ্ব জানতে চাওয়া হলে বিজেপির এক পক্ষ দাবি করে, ‘টাকা খেয়ে’ বিজেপি জেলা সভাপতি গোপাল দলের পুরনো কর্মীদের বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে থেকে দূরে রাখছেন। একই সঙ্গে সভাপতি ও তাঁর লোকজন তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিজেপিকেই শেষ করার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে পথে নামতেই গোপালের দলবল তাঁদের আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। দীপক বিশ্বাস নামে জখম এক বিজেপি কর্মী বলেন, “সত্যি কথা বলতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছি।’’ যদিও বিজেপি জেলা সভাপতি সমস্ত অভিযোগই নস্যাৎ করে দেন। তাঁর কথায়, ‘‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আর যাঁরা দলের জেলা সভাপতির কুশপুতুল পোড়ানোর জন্যে পথে নামেন, তাঁরা কখনও বিজেপি হতে পারেন না।’’
লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এই ভাবে রাস্তায় নেমে আসায় উৎফুল্ল ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের এসটি সেলের রাজ্য সভাপতি দেবু টুডু বলেন, ‘‘এটাই বিজেপির স্বরূপ। কালনার বাসিন্দারা নিজেদের চোখে বিজেপির আসল রূপ দেখলেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এ জন্যই তো আমি বিজেপিকে অসভ্য, বর্বরদের দল বলি। বাংলার মানুষ গত বিধানসভা ভোটে এই বিজেপিকে বাংলায় হারিয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে গোটা দেশের মানুষ এই দলকে কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে বিদায় দিয়ে দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy