Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

গাড়ি আটকে মিলল চার কুইন্টাল গাঁজা

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে প্রাণপ্রতিম মোরা অসমের নওদা জেলার রোহার থানা এলাকার বাসিন্দা আর অসীম সরকারের বাড়ি চুঁচুড়ার কানাগড়ে। গাঁজা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, আর কারা জড়িত তার খোঁজ করছে পুলিশ।

গাড়ি থেকে মিলেছে একাধিক নম্বরপ্লেট। নিজস্ব চিত্র

গাড়ি থেকে মিলেছে একাধিক নম্বরপ্লেট। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৯ ০১:৪২
Share: Save:

রাতে নীল বাতি জ্বালিয়ে এসটিকেকে রোড দিয়ে ছুটছিল গাড়িটি। কালনার নান্দাই এলাকার রেলগেটের কাছে গাড়িটিকে আটকায় পুলিশ। মেলে আট বস্তায় প্রায় চার কুইন্টাল গাঁজা। গাড়িতে থাকা দুই যুবককে গ্রেফতারও করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে প্রাণপ্রতিম মোরা অসমের নওদা জেলার রোহার থানা এলাকার বাসিন্দা আর অসীম সরকারের বাড়ি চুঁচুড়ার কানাগড়ে। গাঁজা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, আর কারা জড়িত তার খোঁজ করছে পুলিশ।

এর আগেও এসটিকেকে রোড থেকে ধরা পড়েছে পাচার হওয়া গাঁজা। বছর দেড়েক আগে একটি লরি থেকে ছয় কুইন্টাল গাঁজা উদ্ধার হয়। বছর তিনেক আগে এই রোডে একটি গাড়ি থেকে মেলে চার কুইন্টালের বেশি গাঁজা। সে বার দুষ্কৃতীরা ব্যবহার করেছিল নদিয়ার কৃষ্ণনগর এলাকার এক আইনজীবীর গাড়ি। পুলিশের দাবি, এসটিকেকে রোড গাঁজার করিডর। চোখ এড়াতেই বেআইনি কারবারিরা গাড়িতে পুলিশ, আইনজীবী বা সরকারি কর্তাদের স্টিকার সেঁটে ঘোরাফেরা করে। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গ, অসম, ওড়িশা, মণিপুর-সহ নানা জায়গা থেকে কারবারিরা আসে। নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, হাওড়ার মতো জায়গায় তাদের একাধিক এজেন্ট রয়েছে। তারাই গন্তব্যে পৌঁছে দেন গাঁজা।

বুধবার রাত ১১টা নাগাদ নান্দাই এলাকায় টহল দিচ্ছিল কালনা থানার একটি ভ্যান। তখনই নীল আলো জ্বালিয়ে তীব্র গতিতে সাদা রঙের ওই গাড়িটি আসতে দেখেন পুলিশকর্মীরা। কলকাতামুখী গাড়িটিকে আটকান তাঁরা। পুলিশের দাবি, গাড়িটির সামনে ‘পুলিশ’ লেখা একটি স্টিকার সাঁটানো ছিল। গাড়ির ভিতরে থাকা দুই যুবকের কথাবার্তায় সন্দেহ হয় তাঁদের। জেরা করতেই ভেঙে পড়েন দুই যুবক। ততক্ষণে গাড়ির ভিতর থেকে ঝাঁঝালো গন্ধ পায় পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে দেখা যায়, আটটি বস্তার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু প্যাকেট। তাতে রয়েছে প্রায় চার কুইন্টাল গাঁজা। এ ছাড়াও ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু বিভিন্ন রাজ্যের গাড়ির নম্বরপ্লেট, আধার কার্ড এবং তিনটে মোবাইল পায় পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে দিয়ে আসার সময় প্রয়োজন বুঝে নম্বর প্লেট বদলে ফেলে দুষ্কৃতীরা।

তবে কোথায় গাঁজা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, কারা কারা এই কারবারে জড়িত, কোথা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল বস্তা বস্তা গাঁজা তা এখনই জানাতে চায়নি পুলিশ। কালনার এক পুলিশ কর্তার কথায়, ‘‘ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ করা যাবে না।’’ ধৃত দুই যুবককে তোলা হবে বর্ধমানের বিশেষ আদালতে।

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Police Marijuana
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE