দুর্গাপুরের সগড়ভাঙায় এটিএমের সামনে তৃণমূলের বিক্ষোভ।
নোট বাতিলের জেরে ভোগান্তির ছবি তো ছিলই। এ বার টাকা না পেয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভও শুরু হল শিল্পাঞ্চলের নানা এলাকায়। কোথাও বন্ধ এটিএমের সামনে বিক্ষোভ শুরু করল তৃণমূল, কোথাও আবার টাকা পাল্টানো বন্ধ হওয়ায় ভাঙচুর হল ব্যাঙ্কে। তবে টাকার জোগান বাড়ানোয় সন্ধের মধ্যে পরিস্থিতি অনেকটা ভাল হয়েছে বলে ব্যাঙ্কগুলির তরফে জানানো হয়েছে।
বিকেল ৪টের পরে টাকা বদল করা হয়নি, এই অভিযোগে মঙ্গলবার কুলটির কেন্দুয়া বাজারে একটি ব্যাঙ্কের জানলা ভাঙচুর করেন এক দল গ্রাহক। তাঁদের দাবি, বিকেল ৪টে নাগাদ ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী-আধিকারিকেরা জানিয়ে দেন, এ দিন আর নোট পাল্টানোর কাজ হবে না। অথচ, তখনও লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন বহু গ্রাহক। তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। কয়েকজন জানলার কাচ ভেঙে দেন। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ খবর দিলে পুলিশ পৌঁছয়। পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকেরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
কুলটিতে ব্যাঙ্কের ভাঙা জানলা। নিজস্ব চিত্র।
এ দিন সকালে ব্যাঙ্ক খোলার বহু আগে থেকেই ব্যাঙ্ক ও নানা এটিএমের সামনে লম্বা লাইন পড়ে যায়। কিন্তু দেখা যায়, আগের দিনের মতোই রাষ্ট্রায়ত্ত বা বেসরকারি বেশির ভাগ ব্যাঙ্কের এটিএমেই ঝাঁপ। ব্যাঙ্কগুলিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগের তুলনায় টাকার সরবরাহ ভাল হয়েছে। তাই বেলার দিকে বেশ কিছু এটিএমে টাকা ভরা হয়। এটিএম চালু হওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন গ্রাহকেরা।
তবে দুপুরে দুর্গাপুরের সগড়ভাঙায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমে টাকা না পেয়ে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে দেন। তাঁদের অভিযোগ, টাকা আদৌ আসবে কি না, তা বুঝতে না পেরে বাসিন্দারা আরও সমস্যায় পড়ছেন। ঘণ্টাখানেক পরে অবশ্য টাকার গাড়ি আসে। কিছুক্ষণের মধ্যেই চালু হয়ে যায় এটিএম। আরও পরে দূরের এটিএমগুলিও চালু হতে শুরু করে। ফলে, সন্ধ্যার মধ্যে পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে দুর্গাপুরে।
কিন্তু ডাকঘরগুলিতে এ দিনও পর্যাপ্ত টাকা না মেলার অভিযোগ উঠেছে। করঙ্গপাড়ার বাসিন্দা অর্চনা ভান্ডারি পুরনো নোট বদলে নতুন নোট নিতে এসেছিলেন দুর্গাপুর বাজার ডাকঘরে। কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, টাকা নেই। তাই শুধু টাকা জমা নেওয়া হবে। হতাশ অর্চনা বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কের ভিড় এড়াতে ডাকঘরে এসেছিলাম। কিন্তু সেই ফাঁকা হাতেই ফিরতে হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy