Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

খুনে অভিযুক্ত সিদ্দিকুল্লার ভাই

নিগন বাসস্ট্যান্ডের কাছে সোমবার সন্ধ্যায় আততায়ীদের গুলিতে খুন হন তৃণমূলের শিমুলিয়া অঞ্চল সভাপতি সানাউল্লা শেখ ওরফে ডালিম।

সান্ত্বনা: নিহত ডালিম শেখের বাড়িতে মুকুল রায় ও মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।  বুধবার মঙ্গলকোটে। —নিজস্ব চিত্র।

সান্ত্বনা: নিহত ডালিম শেখের বাড়িতে মুকুল রায় ও মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। বুধবার মঙ্গলকোটে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মঙ্গলকোট শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৭ ০১:২৪
Share: Save:

খুনের কারণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব— সে দাবি আগেই করেছিলেন নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী। পূর্ব বধর্মানের মঙ্গলকোটে ডালিম শেখ খুনের অভিযোগেও নাম রইল এলাকার তৃণমূল বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর ভাই রহমতুল্লা চৌধুরী ও জেলা পরিষদ সদস্য বিকাশ চৌধুরীর।

নিগন বাসস্ট্যান্ডের কাছে সোমবার সন্ধ্যায় আততায়ীদের গুলিতে খুন হন তৃণমূলের শিমুলিয়া অঞ্চল সভাপতি সানাউল্লা শেখ ওরফে ডালিম। তাঁর স্ত্রী লাভলি বিবির অভিযোগ, ‘‘ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করছেন আমার স্বামী। ব্লক সভাপতির সঙ্গে বিধায়কের বনে না। তাই বিধায়কের গোষ্ঠী এই কাণ্ড ঘটাল!’’ ব্লক সভাপতি অপূর্ববাবুও বলেন, ‘‘রহমতুল্লারা ঘটনায় জড়িত না হলে ওঁদের নামে অভিযোগ হতো না।’’ বিধায়ক সিদ্দিকুলা চৌধুরীর অবশ্য দাবি, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ। গত এক বছর রহমতুল্লা ওই গ্রামে যাননি।’’

ডালিমের দাদা আসাদুল্লা শেখ মঙ্গলবার রাতে রহমতুল্লা ও বিকাশ চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৫ জন এই ঘটনায় যুক্ত বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। আসাদুল্লার দাবি, রবিবার রাতে শিমুলিয়ায় একটি বৈঠক করে খুনের ছক কষেন বিকাশ ও রহমত। আসাদুল্লার আক্ষেপ, ‘‘রাজনৈতিক আক্রোশে আমার ভাইকে মারল ওরা!’’ অভিযোগ পেয়ে রাতেই শিমুলিয়া থেকে সাত জনকে ধরে পুলিশ। তবে রহমতুল্লা ও বিকাশ চৌধুরীর সন্ধান মেলেনি। পুলিশের দাবি, তাঁদের খোঁজ চলছে।

নিহতের বাড়িতে বুধবার গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। রহমতুল্লার শাস্তির দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা। মুকুলবাবু বলেন, ‘‘অভিযোগে কারও নাম থাকলেই, সে দোষী নয়। তবে ঘটনায় দলের কেউ জড়িত থাকলে, দলীয় ভাবে কড়া শাস্তি হবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE