নিজস্ব চিত্র।
মোটরবাইক চুরির অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে ১২টি চোরাই মোটরবাইক উদ্ধার হয়েছে। এই চক্রে বাকি জড়িতদের খোঁজ চলছে বলে জানায় পুলিশ। এরই মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে দুর্গাপুরের বেনাচিতিতে মোটরবাইক চুরির চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে আটক করে মারধর করেন আশপাশের কিছু বাসিন্দা। পরে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান সিভিক ভলান্টিয়ার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’তিন মাসে দুর্গাপুরের বিভিন্ন জায়গায় পরপর মোটরবাইক চুরির অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নেমে ওয়ারিয়া ফাঁড়ির পুলিশ ২৩ অগস্ট বীরভূমের কাঁকরতলা থানার চৌরা গ্রাম থেকে শেখ মোমিন নামে এক জনকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করে দুর্গাপুরের কাদা রোড থেকে ধরা হয় কবিরুল খান নামে আর এক জনকে। দুর্গাপুর আদালত ধৃতদের ৫ দিন পুলিশি হেফাজতে পাঠায়। তাদের জেরা করে দুর্গাপুর, বীরভূমের কাঁকরতলা, লাভপুর-সহ নানা এলাকা থেকে ১২টি মোটরবাইক উদ্ধার হয়।
তদন্তকারীদের দাবি, ধৃতেরা আন্তঃজেলা ও আন্তঃরাজ্য মোটরবাইক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। দলের পাণ্ডা কবিরুল। বীরভূম ছাড়া, ঝাড়খণ্ডেও চোরাই বাইক সরবরাহ করে তারা। কবিরুলের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার চন্দনপুর গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরে সে কাদা রোডে ডেরা বেঁধে রয়েছে। নানা থানা এলাকা থেকে চুরি যাওয়া আরও অনেক মোটরবাইক তাদের জেরা করে মিলবে বলে মনে করছে পুলিশ। আজ, বুধবার ধৃতদের ফের আদালতে তোলা হবে। ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত বলেন, ‘‘ধৃতেরা যাদের কাছে বাইকগুলি বিক্রি করত তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’’
মঙ্গলবার দুপুরে বেনাচিতি বাজারের জলখাবার গলির কাছে মোটরবাইক রেখে দোকানে ঢুকেছিলেন এলাকার এক ব্যবসায়ী। তাঁর দাবি, হঠাৎ বাইরে তাকিয়ে দেখেন, এক যুবক মোটরবাইকের চাবি খোলার চেষ্টা করছে। তিনি চিৎকার করতেই সে পালাতে চেষ্টা করে। আশপাশের লোকজন তাকে ধরে ফেলেন। কেউ-কেউ মারধর শুরু করেন। এক সিভিক ভলান্টিয়ার ওই যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। পুলিশ জানায়, ওই যুবকের কাছে মোটরবাইকের একটি নকল চাবি মিলেছে। তাকে জেরা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy