প্রতীকী ছবি।
বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই শুক্রবার গোটা রাজ্যে বলবৎ হয়েছে আদর্শ আচরণ-বিধি। শনিবার সব ক’টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের ডেকে সেই বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিলেন জেলা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। কমিশনের স্পষ্ট বার্তা: আচরণ-বিধি লঙ্ঘিত হলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
জেলাশাসক জানান, ভোটে কোভিড-বিধি মেনে চলার স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কোভিড-আক্রান্ত ভোটার বিএলও-র মাধ্যমে আবেদন জানালে তাঁকে পোস্টাল ব্যালট দেওয়া হবে। ভোটকর্মীরা ‘পিপিই’ পরে বাড়িতে পোস্টাল ব্যালট পৌঁছে দেবেন। ভোটারদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য ভোটকেন্দ্রে থাকবেন আশাকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। ভোটারদের হাতে দস্তানা, মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হবে। ভোটদানের পরে সেগুলি নির্দিষ্ট বাক্সে ফেলতে হবে। কোভিড-সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকছে ভোটকর্মীদের জন্যও।
ভোটকেন্দ্রে আসার পরে কোনও ভোটারের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে হাতে ‘টোকেন’ ধরিয়ে তাঁকে বিকেল ৫টায় ভোট দিতে আসতে বলা হবে। কোভিড-পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজনৈতিক দলগুলিকেও বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে কমিশন। কম সংখ্যক সদস্য-সমর্থক নিয়ে মুক্তমঞ্চে সভা করার পাশাপাশি প্রয়োজনে ‘জায়ান্ট স্ক্রিন’ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। প্রেক্ষাগৃহে সভা হলে, আসন সংখ্যার অর্ধেকের বেশি লোকজন যাতে হাজির না হন, তা দেখতে বলা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি প্রচারের সময় এক সঙ্গে পাঁচ জনের বেশি কর্মীর উপস্থিতি এড়াতে বলেছে কমিশন। পূর্ণেন্দুবাবু জানিয়েছেন, আচরণ-বিধি মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা নজরে রাখতে ২৭টি দল গঠন করা হয়েছে। দলের সদস্যেরা ঘুরে ঘুরে ছবি তুলবেন। পরীক্ষা করে দেখা হবে সেই ছবি।
জেলায় প্রায় ১৬ হাজার ভোটকর্মী নেওয়া হয়েছে। তাঁদের ৯০ শতাংশের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। প্রশিক্ষণ নিতে না আসা কর্মীদের কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছে। উত্তর গ্রহণযোগ্য না হলে বিভাগীয় পদক্ষেপ করা হবে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, সরকারি দফতর ও সম্পত্তিতে ঝোলানো রাজনৈতিক দলের ব্যানার, ফেস্টুন ও পতাকা খুলে নেওয়ার কাজ
শুরু হয়েছে।
এ দিকে, আজ, রবিবার বাম-কংগ্রেসের ব্রিগেড সমাবেশের দিন আদর্শ আচরণ-বিধি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক ডেকেছিল দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন। পরে তা পরিবর্তিত হয়। তবে, তার আগেই শুরু হয় বিতর্ক। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার জানান, শনিবার সকাল ১১টা ৪৮-এ তিনি বৈঠকের চিঠি পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে অনেক আগে। ওই দিনে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকের দিন পরিবর্তনের আর্জি জানালে মহকুমাশাসক জানিয়েছিলেন, বৈঠক রবিবারই হবে। সেখানে আসতে না পারলে সিদ্ধান্ত পরে জেনে নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি আমরা।’’ জেলা কংগ্রেস সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রশাসন যে নিরপেক্ষ নয়, তা প্রমাণিত হয়েছে এই ঘটনায়।’’
মহকুমা নির্বাচনী আধিকারিক তথা মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) অর্ঘ্যপ্রসূন কাজির যদিও প্রতিক্রিয়া, ‘‘সূচি মেনেই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছিল। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলে বৈঠকের দিন পরিবর্তন করা হয়েছে। সোমবার বৈঠকটি হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy