পিসেমশাই তথা বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার সঙ্গে কথা অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রবিবার দুর্গাপুরের গোপালমাঠে। নিজস্ব চিত্র
ভোট মিটলে যাবেন শ্বশুরবাড়ি! রবিবার শ্বশুরবাড়ির পাড়া, দুর্গাপুরের গোপালমাঠে প্রচারে এসে এমনটাই জানালেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া।
এ দিন দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপ, আমড়াই, মেনগেট-সহ নানা এলাকার পাশাপাশি, গোপালমাঠেও ঢোকে সুরেন্দ্রবাবুর প্রচার মিছিল, হুড খোলা গাড়ি। সেখানেই শ্বশুরবাড়ি সুরেন্দ্রবাবুর। সেখানেই থাকেন দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতা ও পুরসভার মেয়র পারিষদ বিজেপি প্রার্থীর ছোট শ্যালক অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ওই পাড়ায় ঢুকতেই অনেকের সঙ্গেই ব্যক্তিগত আলাপচারিতা করতে দেখা যায় বিজেপি প্রার্থীকে। কারও স্বাস্থ্যের খবর নেওয়া, কারও বা বাড়িতে ছেলেমেয়ে কেমন আছে, তা-ও জেনে নেন প্রার্থী। পরে খানিক স্মৃতিমেদুর হয়ে সুরেন্দ্রবাবুর বক্তব্য, ‘‘এ তো আমার পুরনো পাড়া। সবাই পরিচিত।’’
খানিক বাদে প্রচার গাড়ি পৌঁছয় শ্বশুরবাড়ির সামনে। অমিতাভবাবুকে দেখা না গেলেও তাঁর পরিবারের অনেকেই বেরিয়ে আসেন বাড়ির জামাই, তথা প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলতে। আসেন, অমিতাভবাবুর ছেলে অয়নও। তিনি অনুরোধ করেন, ‘‘পিসেমশাই, বাড়ি চলুন।’’ যদিও ‘পিসেমশাই’ বলেন, ‘‘ভোটটা মিটুক, তার পরে আসব রে।’’ এর পরে অয়ন পিসতুতো দাদা, সুরেন্দ্রবাবুর সঙ্গে থাকা ছোট ছেলে মেহের সিংহকে বলেন, ‘‘তুমি চলো’’। বাবার অনুমতি নিয়ে শেষমেশ মেহের যান অয়নের সঙ্গে।
এই ব্যক্তিগত পরিচিতি কি কোনও ভাবে ভোটেও প্রভাব ফেলবে? এলাকার বিজেপি নেতাদের এক বাক্যে জবাব, ‘অবশ্যই হ্যাঁ’। কিন্তু তৃণমূল নেতা অমিতাভবাবুর বক্তব্য, ‘‘ব্যক্তিগত সম্পর্ক তো থাকতেই পারে। জামাইবাবু বাড়িতে আসবেন, এটাই স্বাভাবিক। তবে রাজনীতিতে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না। এখানে বিজেপি প্রার্থী নিশ্চিত হারবেন।’’
পরে তৃণমূল অভিযোগ করে, এ দিন বিজেপির প্রচার মিছিলে প্রায় তিনশোটি মোটরবাইক ছিল। অভিযোগ, কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। র্যালির অনুমোদন ছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল, সিপিএম। তৃণমূল জানায়, এ বিষয়ে দলের তরফে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy