Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

সীমানা এলাকায় নাকা-তল্লাশি শুরু

সিপিএম নেতা মনোজ দত্তেরও অভিযোগ, ‘‘ওই ঘাটগুলি ছাড়াও অজয়ের আরও কয়েকটি ঘাট দিয়ে অস্ত্র ঢোকে। এ সম্পর্কে জানে প্রশাসনও। এর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে শাসক দলেরও। তাই নাকা তল্লাশির নামে সাধারণ মানুষের চোখে ধুলো দেওয়া হচ্ছে।’’

চলছে তল্লাশি। অজয়ের দরবারডাঙা ঘাটে। নিজস্ব চিত্র

চলছে তল্লাশি। অজয়ের দরবারডাঙা ঘাটে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৯ ০৪:০৩
Share: Save:

লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে জামুড়িয়ায় বীরভূম ও ঝাড়খণ্ড সীমানা এলাকায় অজয়ের তিনটি ঘাট এবং ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে চাকদোলা মোড়ে নাকা চেকিং করা হয়েছে। শুক্রবার এমনই জানিয়েছে পুলিশ, প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার থেকে এই তল্লাশি চলছে। অজয়ের ওপারে রয়েছে বীরভূম ও ঝাড়খণ্ড। ওই সীমানা এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। চাকদোলা মোড় হল বীরভূমে যাতায়াতের প্রধান পথ। সেখানেও চলছে তল্লাশি। এক জন সিভিল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সব যানবাহন পরীক্ষা করা হচ্ছে।

ব্লক প্রশাসন জানায়, অজয় নদের বড়কোল, লোধা ও দরবারডাঙা ঘাট দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদকজাত দ্রব্য পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকায় ঢুকতে পারে বলে পুলিশের কর্তাদের একাংশের আশঙ্কা। বিডিও (জামুড়িয়া) অনুপম চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতেই ওই তিনটি ঘাট ও চাকদোলা মোড়ে ভিডিয়োগ্রাফি করা হচ্ছে। বিশেষ নজরদারি দল যানবাহন তল্লাশি করছে।’’

যদিও এই তল্লাশিকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিরোধী নেতৃত্ব। বিরোধীদের অভিযোগ, অতীতে, জামুড়িয়ায় বিভিন্ন নির্বাচনের সময়ে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ, বীরভূম থেকে বহিরাগতদের এনে সন্ত্রাস চালানোরও। ওই সীমানা এলাকাগুলি দিয়ে জেলায় আগ্নেয়াস্ত্র পৌঁছয় বলে অভিযোগ বিজেপি নেতা সন্তোষ সিংহের। তাঁর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের কাছে অনেক আগে থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করা রাখা হয়েছে। প্রশাসন চাইলেই তা খুঁজে বের করতে পারে।’’ সিপিএম নেতা মনোজ দত্তেরও অভিযোগ, ‘‘ওই ঘাটগুলি ছাড়াও অজয়ের আরও কয়েকটি ঘাট দিয়ে অস্ত্র ঢোকে। এ সম্পর্কে জানে প্রশাসনও। এর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে শাসক দলেরও। তাই নাকা তল্লাশির নামে সাধারণ মানুষের চোখে ধুলো দেওয়া হচ্ছে।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, “বিরোধীরা নির্বাচনের দিন ঘোষণা থেকেই বুঝতে পারছেন, তাদের পায়ের তলায় মাটি অনেক আগেই সরে গিয়েছে। তাই তাঁরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে জনমত প্রভাবিত করতে চাইছে।” এ দিকে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (‌সেন্ট্রাল) সায়ক দাস বলেন, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা মেনে প্রশাসন সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করানোর জন্য যা যা করণীয়, তাই করছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

NAKA checking Politics Lok Sabha Election 2019
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE