জেলাশাসকের দফতরে তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন। সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। মঙ্গলবার আসানসোল। নিজস্ব চিত্র
একেবারে শেষ দিনে মনোনয়ন জমা দিলেন আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন। মঙ্গলবার হুডখোলা গাড়িতে দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জেলাশাসকের দফতরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান তিনি। গাড়ির সামনে-পিছনে ছিল দলের বহু কর্মী-সমর্থকের ভিড়।
এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আসানসোলের রবীন্দ্র ভবন এলাকায় জমায়েত হতে শুরু করেন তৃণমূলের নেতা, কর্মী ও সমর্থকেরা। দুপুর ১২টা নাগাদ প্রার্থীকে নিয়ে হাজার সাতেক মানুষের মিছিল জিটি রোড ধরে জেলাশাসকের দফতরের দিকে এগোতে শুরু করে। গোটা রাস্তা জুড়ে মিছিল চলতে থাকায় যানবাহন দাঁড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘক্ষণ জিটি রোড, সেনর্যালে রোড-সহ আশপাশের নানা রাস্তায় যানজট হয়। দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ জেলাশাসকের দফতরে পৌঁছন মুনমুন।
এ দিন মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময়ে পুলিশের পক্ষ থেকে তৃণমূল প্রার্থীকে অনুরোধ করা হয়, তাঁর সঙ্গে পাঁচ জনের বেশি কেউ যেন ভিতরে না যান। কিন্তু প্রার্থীর সঙ্গে অনেক নেতা-কর্মী মনোনয়ন কেন্দ্রে ঢুকতে চাইছিলেন। তবে মুনমুন তাঁদের জানান, প্রশাসনের নির্দেশ মেনে পাঁচ জনের বেশি যাওয়া চলবে না। এর পরেই অনেকে বিরত হন। প্রার্থীর সঙ্গে জেলাশাসকের কাছে যান আসানসোল উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, শহরের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি, দলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসনেরা। প্রায় আধ ঘণ্টা পরে মনোনয়ন জমা দিয়ে বেরিয়ে মুনমুন বলেন, ‘‘দ্বিতীয় বার লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। আমি ভীষণ খুশি। আসানসোলের জন্য অনেক কাজ করতে চাই।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিন মনোনয়ন জমা দেন আসানসোলের কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বরূপ মণ্ডলও। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ দলের জেলা সভাপতি তরুণ রায়কে সঙ্গে নিয়ে জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠির হাতে মনোনয়ন জমা দেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আসানসোল শিল্পাঞ্চলে বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা খোলার দাবি ও কোলিয়ারি বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সংসদ সরব হব। গ্রামীণ এলাকার সার্বিক উন্নয়নেরও চেষ্টা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy