সাজাপ্রাপ্ত: রামকৃষ্ণ বাউরি। নিজস্ব চিত্র
স্ত্রীকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল এক যুবকের। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন দুর্গাপুর ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক অরূপকুমার চৌধুরী। অভিযুক্ত জামুড়িয়া শহরের বাসিন্দা রামকৃষ্ণ বাউড়িকে বৃহস্পতিবার দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বিচারক। এ দিন সাজা ঘোষণা করা হয়। এই মামলায় নিহতের দুই বোন-সহ দু’জন-সহ ১৮ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটে ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে। স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে, এই সন্দেহে তাদের মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হতো। ঘটনার দিন রূপা বাপেরবাড়ি অণ্ডালের ছোড়া গ্রামে ছিল। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, রামকৃষ্ণ আগে থেকেই স্ত্রীকে মারার পরিকল্পনা করেছিল। সে ছোড়ায় রয়েছে, জানতেন কেউই। ঘটনার দিন বিকালে দুই বোন লতা ও লক্ষ্মীকে নিয়ে রূপা তালপুকুর এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে একটি ঝোপে টাঙ্গি নিয়ে লুকিয়েছিল রামকৃষ্ণ। স্ত্রী আসতেই কোপ মারে সে। দিদিকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন লতা ও লক্ষ্মী। ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল অভিযুক্ত।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করলেও রামকৃষ্ণের সন্ধান পাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩০২ ও ৩২৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। দুর্গাপুর আদালতে মামলা শুরু হয়। আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে জেল-হাজতে পাঠান। তখন থেকে সে জেলেই ছিল।
বৃহস্পতিবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। শুক্রবার অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। এ ছাড়া ২০০০ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডেরও নির্দেশ দেন বিচারক। মামলার সরকারি আইনজীবী মহম্মদ ইমরান জানিয়েছেন, ৩২৪ ধারার মামলায় আরও এক বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। দু’টি সাজাই এক সঙ্গে চলবে।
এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন সাজাপ্রাপ্তের আইনজীবী চন্দ্রশেখর সাউ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy