শুধুমাত্র কলাপাতা, কাগজ এবং আঠা। এই দিয়েই তৈরি হয়েছে কালীর বিগ্রহ। সেই বিগ্রহ তৈরি করেছেন পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা শহরের বাসিন্দা, পেশায় স্কুলশিক্ষক তপন দাস। এর আগেও পরিবেশবান্ধব উপকরণ দিয়ে বিগ্রহ, মণ্ডপ তৈরি করেছেন তপন। কখনও পুরীর জগন্নাথ মন্দির, কখনও বা কোনার্কের সূর্য মন্দির, এমনকি, ডিজ়নিল্যান্ডও উঠে এসেছে তাঁর শিল্পকর্মে।
তপন জানিয়েছেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই কাগজ, পিচবোর্ড, আঠা ইত্যাদি দিয়ে নানা রকম জিনিসপত্র তৈরি করতেন। ছোটবেলার সেই নেশাই তপনকে বিগ্রহ তৈরি করতে অনুপ্রাণিত করেছে। এই ধরনের শিল্পকর্মের জন্য বিভিন্ন পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। তপন বলেন, ‘‘কালী ঠাকুর বানাতে আমার মোটামুটি ৬৬ দিন লেগেছে। কোনও কোনও দিন একটানা ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা কাজ করতে হয়েছে।’’ স্কুল সামলে কখন করেন এ সব কাজ? তাঁর কথায়, ‘‘ইচ্ছা আর নেশা থাকলেই উপায় হয়। স্কুলে ক্লাস নেওয়ার ফাঁকে, টিফিনের সময় বসে বসে নকশা এঁকেছি। বাড়িতে রাত জেগে কাজ করেছি।’’
আরও পড়ুন:
তপনের এই কাজে তাঁকে সহযোগিতা করেন তাঁর ছাত্র-ছাত্রীরাও। কালীর বিগ্রহের জন্য কলাপাতা জোগাড় করে দিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। বিগ্রহটি রাখা হয়েছে গুসকরার একটি মণ্ডপে।