বাংলায় চম্পাহাটি বিখ্যাত আতসবাজির জন্য। সেই চম্পাহাটিকে বাংলার ফুটবলে জনপ্রিয় করে তুলেছেন দীপেন্দু বিশ্বাস। যিনি ছোটবেলা থেকেই মোহনবাগানের ভক্ত। বড় হয়ে সেই দলের হয়ে খেলছেন। তবে এখনও নিজেকে মোহনবাগানের সমর্থক হিসাবেই দেখতে পছন্দ করেন দীপেন্দু।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার শহরাঞ্চল থেকে উঠে এসেছেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের তরুণ ডিফেন্ডার দীপেন্দু। গত মরসুমে প্রথম বার দলের জার্সি পরেছিলেন। এই মরসুমে অনেক বেশি ধারাবাহিক হয়েছেন। এই মরসুমে জোড়া খেতাব জিতেছে মোহনবাগান। দলের এই সাফল্যে দীপেন্দুরও অবদান রয়েছে। আইএসএল মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এ এক অসাধারণ অনুভূতি। আমাদের সকলের স্বপ্ন ছিল এটা। গত বছর আমরা ফাইনালে হেরে গিয়েছিলাম। এ বারে চ্যাম্পিয়ন। আমি খুবই খুশি। আমার মা-বাবাও মাঠে ছিলেন, তাই আরও ভাল লেগেছে।”
আরও পড়ুন:
দীপেন্দু এ বার সবুজ-মেরুন বাহিনীর কলিঙ্গ সুপার কাপ অভিযানে বড় ভরসা। শুভাশিস বসু, আলবার্তো রড্রিগেজ, টম অলড্রেড, আশিস রাই-দের অনুপস্থিতিতে জুনিয়রদের সঙ্গে তাঁকেই নিতে হবে দলের দূর্গরক্ষার দায়িত্ব। “আমি আগে এক জন মোহনবাগান সমর্থক, তার পর এই ক্লাবের ফুটবলার”, বলেন সবুজ-মেরুনের রক্ষণপ্রহরী। মাঠে নামার সময়ও এটাই মাথায় রাখেন দীপেন্দু। তাই বোধহয় নিজেকে অন্যদের চেয়ে আরও বেশিই উজ্জীবিত করে তুলতে পারেন। তাঁর এই মানসিকতাই তাঁকে মোহনবাগানের ঘরের ছেলে করে তুলতে পারে কি না, এখন সেটাই দেখার।
চাপের মুখেও মাথা ঠান্ডা রাখা ও বিচক্ষণতার জন্য পরিচিত দীপেন্দু। ছোটবেলায় অনেক বাধা পেরিয়ে এই সাফল্য পেয়েছেন। কঠিন সময়ে মাঠের বাইরেও বিচক্ষণতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। কোভিডের ভয়ঙ্কর সময়ে তাঁর ফুটবল জীবন প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছিল। সেই প্রসঙ্গে দীপেন্দু বলেন, “কোভিডের সময় মনে হয়েছিল, আর কিছু হবে না। হয়তো ফুটবল ছেড়েই দিতে হবে। যদিও পুরোপুরি ছাড়ার কথা ভাবিনি, কিন্তু সেই খেলতে চাওয়ার ইচ্ছেটা তখনও ছিল। আমি ভবিষ্যতে জীবনে কিছু করতে চেয়েছিলাম। সেটাই ছিল আমার অনুপ্রেরণা। তাই খেলা ছাড়িনি।” ভাগ্যিস খেলা ছাড়েননি। না হলে মোহনবাগান এমন এক জন বাঙালি ডিফেন্ডার পেত না।