গ্রামে জলপ্রকল্প গড়ে উঠেছে। পাইপলাইনের মাধ্যমে সেই প্রকল্প থেকে আশপাশের বিভিন্ন গ্রামে জল সরবরাহ করা হচ্ছে। অথচ, যে গ্রামে প্রকল্পটি তৈরি হয়েছে, দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের সেই নাচন গ্রামেই সকলে জল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে বিডিও-র দ্বারস্থ হয়েছেন ওই বাসিন্দারা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতাপপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নাচনে বছরখানেক আগে জলপ্রকল্পটি তৈরি করে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। পাইপলাইনের মাধ্যমে নাচনের একাংশ এবং ধবনী, লবণাপাড়া প্রভৃতি মৌজাতে জল সরবারহ করা হয়। অথচ, বাসিন্দাদের অভিযোগ, তফসিলি জাতি ও উপজাতি অধ্যুষিত পাড়ায় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়নি। সনকা বাউরি, রুপালি বাউরি, বেলা বাউরিরা বলেন, ‘‘কয়েক বছর ধরে জলপ্রকল্পটি গড়া হয়েছে। ভেবেছিলাম, এ বার আমাদের জলের অভাব মিটবে। কিন্তু আমাদের পাড়াতেই কল বসানো হয়নি।’’ বাসিন্দারা জানান, গরম পড়লেই এলাকায় জলের আকাল চরমে ওঠে। টিউবওয়েল, কুয়ো থেকে পর্যাপ্ত জল মেলে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসিন্দারা পঞ্চায়েতের কাছে সমস্যা সমাধানের জন্য দরবার করেছিলেন। পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছে, গ্রামে সমীক্ষা চালিয়ে আরও ১১টি জলের কল বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। সে বিষয়ে বিডিও-র মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কাছে আর্জিও জানানো হয়েছে। গ্রামের ড্যাম্পপাড়ায় তিনটি, বটতলা ও বাউড়ি পাড়ায় দু’টি করে এবং সামন্তপাড়া, ঘোষপাড়া, ঘটকপাড়া ও নামোপাড়ায় একটি এবং পাশের গ্রাম বাঁশিয়াতে ন’টি জলের কল বসানোর আর্জি জানানো হয়েছে বলে পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে।
দুর্গাপুর-ফরিদপুরের বিডিও শুভ সিংহরায় বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি পঞ্চায়েত এলাকায় চল্লিশটিরও বেশি জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দারা দাবি জানালে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy