অঙ্গনওয়াড়ির ঘরে কাজ করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। নিজস্ব চিত্র
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘরের সংস্কার হয়নি। নতুন ঘরের ব্যবস্থাও হয়নি। তাই অঙ্গনওয়াড়ির জিনিসপত্র রাখার ঘরেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালানো হচ্ছে গুসকরার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিষেবায় সমস্যা হচ্ছে, অভিযোগ স্বাস্থ্যকর্মী থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের। কিন্তু জায়গা না পাওয়ায় ভবন তৈরির উদ্যোগ হচ্ছে না বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুসকরা ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জলট্যাঙ্কের কাছে জনস্বাস্থ্য কারিগরির একটি পরিত্যক্ত ভবনে ২০০৭ সাল থেকে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চলত। ৩ নম্বর ছাড়াও শহরের বেশ কিছু ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সেখান থেকে পরিষেবা পান। বিশেষত প্রসূতি ও শিশুদের চিকিৎসা ও ওষুধপত্র দেওয়া হয়। সেই সঙ্গেই পুরসভা পরিচালিত একটি দাতব্য চিকিৎসালয় চলত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরির ভবনটি। ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পড়ত। বছরখানেক আগে চাঙড় খসে পড়তে শুরু করে। বৃষ্টির সময়ে ঘরের মেঝে জলে ভরে যেত। এমনকি, সাপও ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা বেশ কয়েক বার পরিদর্শনে এলেও সমস্যা মেটেনি।
মাস দুয়েক স্থানীয় কাউন্সিলরের পরামর্শে বিপজ্জনক ঘর ছেড়ে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ঘরে গিয়ে ওঠেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা। কিন্তু নানা ধরনের রোগীরা আসা-যাওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের ঘর ছেড়ে দিতে বলেন। তখন স্থানীয় কাউন্সিলর স্বাস্থ্যকর্মীদের এলাকার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের একটি ঘরে বসার ব্যবস্থা করেন। ওই ঘরটি অঙ্গনওয়াড়ির মালপত্র রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়। সেখানেই মাসখানেক ধরে চলছে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পুরসভার দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্র।
মোট সাত জন কর্মী ওই ছোট ঘরে বসেই পরিষেবা দেন। তাঁরা জানান, দিনে শ’খানেক বাসিন্দা পরিষেবা নিতে আসেন। তবে জায়গা না থাকায় প্রসূতি ও সদ্যোজাতদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও টিকা দিতে অসুবিধা হচ্ছে। রোগীদের জন্য যে বিছানা রয়েছে তার উপরেই ওষুধপত্র-সহ চিকিৎসার নানা সরঞ্জাম ডাঁই করে রাখা আছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চললেও সংশ্লিষ্ট দফতর কার্যত উদাসীন বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
যদিও আউশগ্রাম ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ধীমান মণ্ডল জানান, স্থায়ী উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির জন্য জায়গার খোঁজ করা হচ্ছে। কিন্তু তা পাওয়া যাচ্ছে না। গুসকরার পুরপ্রধান বুর্ধেন্দু রায়ের অবশ্য আশ্বাস, পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন দ্রুত মেরামতি করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy