ঘুরে দাঁড়াবে কারখানা, আশা কর্মীদের।—ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় সরকার কারখানা বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই অভিযোগে যখন বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে সিটু। তখনই উল্টো দিকে, নিম্ন মানের আকরিক ব্যবহার করে উন্নত মানের স্পঞ্জ আয়রন তৈরির প্রযুক্তি খুঁজতে প্রধানমন্ত্রীর উচ্চতর আবিষ্কার যোজনা (ইউএওয়াই) প্রকল্পে দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট (এএসপি) চুক্তি করল আইআইটি খড়্গপুরের সঙ্গে। আর এরপরে কারখানার উৎপাদন ও ভবিষ্যত নিয়ে আশঙ্কা খানিকটা হলেও কাটল বলে মনে করছেন কর্মীদের একাংশ।
ইস্পাত শিল্পে কাঁচামালের জন্য খরচের বেশির ভাগটাই যায় আকরিক ও কয়লা কিনতে। সাম্প্রতিক সময়ে ভাল মানের আকরিক ও কয়লার আকাল রয়েছে বলে কারাখানা সূত্রে খবর। কাঁচামাল ভাল না হওয়ায় উৎপাদন ও নিখুঁত ‘ফিনিসিং’ দেওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে বলে জানান কর্মীরা।
উৎপাদনে লাভ না হওয়ায় নিম্ন মানের আকরিক ও কায়লার ইস্পাত শিল্পে তেমন কদর নেই। কিন্তু এই অপেক্ষাকৃত নিম্ন মানের আকরিক দিয়েই আশানুরূপ উৎপাদন করে তাক লাগাতে চাইছেন এএসপি কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ জানান, সম্প্রতি ইউএওয়াই প্রকল্পে এএসপি ও আইআইটি-র চুক্তি হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই, কী ভাবে জাতীয় সম্পদ বাড়ানো যায়।
কী কী বিষয়ে চুক্তি হয়েছে? কারখানা সূত্রের খবর, এএসপিতে প্রতি দিন ৫ টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পাইলট প্ল্যান্ট গড়া হবে। সেখানেই যৌথ গবেষণা চালাবে এএসপি ও আইআইটি। কোন প্রযুক্তিতে নিম্ন মানের আকরিকের ঠিকমতো ব্যবহার করা যায়, তারই খোঁজ চলবে গবেষণায়। প্রকল্পের জন্য আপাতত তিন বছর সময়সীমা ধরা হয়েছে। গোটা প্রকল্পের খরচ যৌথ ভাবে বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকারের ইস্পাত ও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।
কারখানার কর্মীদের দাবি, বিশেষ ধরনের অ্যালয় স্টিল তৈরিতে সুনাম রয়েছে এএসপি-র। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের সাবমেরিন, ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি এবং রেলের বিভিন্ন কাজে এই ইস্পাত কাজে লাগে। প্রতিরক্ষা গবেষণার বিভিন্ন কাজেও ভূমিকা রয়েছে এই কারখানার।
তবে সম্প্রতি সংস্থার আর্থিক হাল খুব একটা ভাল নয়। বাজারে অ্যালয় স্টিলের চাহিদাও কমেছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন প্রযুক্তি পেলে উৎপাদন খরচে লাগাম টেনে পরিস্থিতির সামাল দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন কারখানার কর্মী ও আধিকারিকেরা। এএসপি-র এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এই প্রকল্পের ফলে ‘স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’র বিভিন্ন খনিতে বিপুল পরিমাণে জমে থাকা আকরিক ও কয়লা গুঁড়োকে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর জেরে জাতীয় সম্পদ যেমন বাড়বে, তেমনই আর্থিক ভাবেও উপকৃত হবে সংস্থা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy