প্রমোটারদের হাত থেকে আমবাগান বাঁচাতে সম্প্রতি সমীক্ষা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যেই আসানসোলের বারাবনি থানার অন্তর্গত দোমোহনি এলাকায় একটি আমবাগান বেআইনি ভাবে কেটে সাফ করে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তা বন্ধ করেছে বন দফতর। যদিও তত ক্ষণে প্রচুর গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
দোমোহনি বাজার থেকে জামুড়িয়া যাওয়ার রাস্তায় একটি বড় আমবাগান রয়েছে। সেখানে রয়েছে বহু প্রাচীন আম গাছ। ওই বাগানটি বংশী পাল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার। সোমবার দেখা যায়, সেই বাগানের গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ গাছ কাটার প্রতিবাদ করেন। তাঁদের দাবি, এ ভাবে নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলা হলে নষ্ট হবে পরিবেশের ভারসাম্য। অনেকে আবার ফোন করে বিষয়টি জানান বন দফতরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বন দফতরের কর্মীরা। তখন অবশ্য যাঁরা গাছ কাটছিলেন তাঁরা চম্পট দেন। পশ্চিম বর্ধমানের ডিএফও নীলরতন পাণ্ডা জানিয়েছেন, বাগান মালিক কেন গাছ কাটছিলেন তা নিয়ে তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে উপযুক্ত জবাব না পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কেটে ফেলা গাছগুলি বন দফতর বাজেয়াপ্ত করেছে।
মুর্শিদাবাদ এবং মালদহ এই দুই জেলায় রয়েছে রাজ্যের বহু আমবাগান। উদ্যানপালন দফতর নির্দিষ্ট ভাবে জানতে চাইছে, রাজ্যে এখন কতগুলি আমবাগান রয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্যের কোন জেলায় কত আমবাগান, সেখানে কী কী প্রজাতির আমের চাষ হয়, সেই সব আমগাছের বয়স কত— এই সব তথ্যের ভাণ্ডারও গড়ে তুলতে চাইছে সরকার।