বারাণসী, কাসগঞ্জ, রামপুরের পর হাপুর। এ বারও সেই উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। এক দলিত কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। অন্য গ্রামের এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। তার পরই ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা অভিযুক্তকে ধরে বেধড়ক মারধর করেন। আর সেই মারধরের জেরে যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ঘটনাটি গত ১৭ এপ্রিলের। চতুর্থ শ্রেণির এক পড়ুয়া বাড়িতে একা ছিল। তাঁর বাবা-মা খেতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় পাশের গ্রামের এক যুবক ওই বাড়িতে আসেন। ওই পড়ুয়াকে প্রলুব্ধ করে একটি পরিত্যক্ত কারখানায় নিয়ে যান। সেখানে তাকে মাদক মেশানো ঠান্ডা পানীয় খাওয়ান। তার পর ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
পড়ুয়ার খোঁজ না পেয়ে তাঁর বাবা-মা পুলিশের দ্বারস্থ হন। গ্রামবাসীরাও খোঁজাখুঁজি করেন। তখন তাঁরা পরিত্যক্ত ওই কারখানা থেকে পড়ুয়াকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করেন। তার পাশেই মত্ত অবস্থায় বেহুঁশ হয়ে পড়েছিলেন যুবক। পুলিশ আসার আগেই গ্রামবাসীরা ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করেন। তার পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গুরুতর জখম হন অভিযুক্ত। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অভিযুক্তের কাকা গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছেন।