নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু আদালতের রায় বিপক্ষে যাওয়ায় চাকরি পেলেন না। সোমবার দুর্গাপুরে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের (এসবিএসটিসি) প্রধান কার্যালয় থেকে হতাশ হয়েই ফিরতে হল জনা আঠেরো মহিলাকে।
এসবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালের অগস্টে পরীক্ষা নেওয়া হয়। আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১২০০। ডিসেম্বরে ৬৮ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। পুরুষ ৫০ জন, মহিলা ১৮ জন। মহিলাদের প্রত্যেককে কন্ডাক্টার পদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। যোগ্যতামান ছিল মাধ্যমিক উত্তীর্ণ, কন্ডাক্টারের লাইসেন্স ও এক বছরের অভিজ্ঞতা। তবে ওই মহিলা প্রার্থীদের অভিজ্ঞতা না থাকলেও কর্মরত অবস্থায় মৃতের নিকট আত্মীয় হিসেবে বিবেচনা করে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। তারই প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন উত্তীর্ণ না হওয়া দুই পরীক্ষার্থী। আদালত নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতের নির্দেশ দেয়। ৭ এপ্রিল আদালত অযোগ্য ও অনভিজ্ঞদের ছেঁটে যোগ্যদের বহাল করার নির্দেশ দেওয়ায় ওই ১৮ জন মহিলার নাম বাদ যায়।
কিন্তু এই নির্দেশের কথা তাঁদের অনেকেরই জানা ছিল না বলে জানান দুর্গাপুরের শ্যামপুরের অর্পিতা দে, কেতুগ্রামের আয়েষা পারভিন বা কলকাতার শ্যামবাজারের সুস্মিতা চক্রবর্তীরা। তাই সোমবার দুর্গাপুরে কাজে যোগ দিতে এসেছিলেন তাঁরা। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, যোগ্যতা অনুযায়ী ওই মহিলাদের অন্য পদে নিয়োগ করা যেতে পারে। কিন্তু আপাতত তেমন শূন্যপদ নেই বলে দাবি নিগমের এক কর্তার। তবে নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শুভেন্দু বসু এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy