বর্ধমানের ভাতছালায় অভিযানে পুরসভা। — নিজস্ব চিত্র।
বাড়ির সামনের পুকুরের একাংশ ভরাট করে বাগান তৈরির অভিযোগ উঠল এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে বর্ধমান শহরের ভাতাছালা এলাকায় গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন বর্ধমানের পুরপ্রধান পরেশ সরকার ও বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী। তাঁরা পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে, জলাশয়ের কত অংশ ভরাট করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও অভিযোগ মানেননি আইনজীবী জয়ন্ত মণ্ডল।
এ দিন সকালে পরেশ ও সুখময় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, পুকুরের একাংশ ভরাট করা হয়েছে। সেই জায়গা বাঁশের খাঁচা গিয়ে ঘেরা হচ্ছে। ভরাট হওয়া জায়গায় গাছ বসানো রয়েছে। ওই ওয়ার্ডের পুর-প্রতিনিধি সনৎ বক্সীর দাবি, ‘‘বারবার বলার পরেও জলাশয় ভরাট করা চলছিল। সে কারণে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করা হয়। আশা করি, প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’’
পুরপ্রধান বলেন, ‘‘আমরা গিয়ে দেখি, জলাশয় ভরাটের কাজ চলছে। ভরাট করা জায়গায় বাগান করা হয়েছে। জলাশয় ভরাট করার অধিকার কারও নেই।’’ তিনি জানান, আইন মেনে প্রথমে নোটিস পাঠানো হবে। তার পরে কতটা জায়গা ভরাট হয়েছে, তা যৌথভাবে দেখব। সেই জায়গা পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দিতে বলা হবে। তা না করলে এফআইআর করা হবে।’’
অভিযুক্ত আইনজীবীর অবশ্য দাবি, ‘‘পুরসভা মিথ্যা অভিযোগ করেছে। ওই পুকুর পুরসভা আবর্জনা ফেলে ভরাট করেছে। ভরাট হওয়া অংশের মাটি যাতে ভেঙে জলে না পড়ে, সে কারণেই বাঁশের বাঁধ দেওয়া হচ্ছে। গাছও লাগানো হয়েছে। পুকুর যাতে ভরাট না হয়, আমিই তার ব্যবস্থা করছি।" তাঁর আরও দাবি, ‘‘পুরসভাই আইন ভাঙছে।’’
পুরপ্রধান জানান, যৌথ পরিদর্শনের পরে যদি দেখা যায়, পুরসভার আবর্জনায় পুকুরের ওই অংশ ভরাট হয়েছে, তবে পুরসভাই জলাশয় পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy