পূর্বস্থলীতে মোষ। —নিজস্ব চিত্র।
দু’জোড়া মোষ নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন একটি ক্লাবের সদস্যেরা। সেগুলির মালিক এখনও বেপাত্তা। ফলে, খড়ের ব্যবস্থা থেকে রাতপাহারা, নানা বন্দোবস্ত করতে হচ্ছে ক্লাবটির সদস্যদের। মোষের মালিক খুঁজে বার করতে পুলিশ, পঞ্চায়েত থেকে স্থানীয় বিধায়কের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। মোষের মালিকের খোঁজ চেয়ে সমাজ মাধ্যমেও ‘পোস্ট’ করেছেন। তবে রবিবার রাত পর্যন্ত মোষ নিতে হাজির হননি কেউ।
পূর্বস্থলীর ধারাপাড়ার ভারতী সঙ্ঘ ক্লাব সূত্রে জানা যায়, দিন চারেক আগে সন্ধ্যা নামার আগে চারটি মোষকে এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। ক্লাবের সদস্যদের দাবি, মোষগুলিকে কয়েক জন সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, তারা মোষের মালিক নন। চারটি মোষ নিয়ে কী করা যায়, ক্লাবের সদস্যেরা এলাকার বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের পরামর্শ চান। বিধায়ক তাঁদের জানান, মালিকহীন মোষগুলি এলাকায় ঘোরাফেরা করলে চাষের জমি-সহ নানা ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই তিনি ক্লাবের তত্ত্বাবধানে মোষগুলি রাখতে বলেন। উপযুক্ত প্রমাণ-সহ মালিক এলে তাঁর হাতে তুলে দিতে বলেন।
এর পরে ক্লাবের সদস্যেরা চারটি মোষ নিয়ে গিয়ে রাখেন এলাকার মহিষমর্দিনী মন্দিরের সামনে। সেখানেই সেগুলির থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। রবিবার ক্লাবের সদস্য শরৎচন্দ্র সাহা বলেন, ‘‘অবলা জীব, ওদের যাতে কষ্ট না হয় সে জন্য ভাল করে ব্যবস্থা করা হয়। ভাবা হয়েছিল, দ্রুত নিশ্চয় মালিকের খোঁজ মিলবে। তবে চার দিন পেরিয়ে গেলেও মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি।’’ তিনি জানান, মোষগুলি দেখভালের জন্য দৈনিক ২০০ টাকা মজুরি দিয়ে লোক রাখতে হয়েছে। এ ছাড়া, মোষেদের খাবারের জন্য ৪ বোঝা খড়, ৫ বোঝা আখের পাতা কিনতে আরও লাগছে শ’তিনেক টাকা। মোষগুলি যাতে চুরি না হয়ে যায়, সে জন্য ব্যবস্থা করতে হয়েছে রাতপাহারার। ক্লাবের আর এক সদস্য দীপঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘চারটি মোষের যত্ন নেওয়া ক্লাবের পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না। মালিক যেন দ্রুত প্রমাণ দিয়ে সেগুলিকে নিয়ে যান, এটাই আবেদন।’’
পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক বলেন, ‘‘মোষ চারটির দাম অন্তত চার লক্ষ টাকা। ওদের মালিকের যাতে খোঁজ পাওয়া যায়, সে জন্য পূর্বস্থলী থানাকে আশপাশের অন্য থানায় জানাতে বলা হয়েছে। সমাজ মাধ্যমেও প্রচার চালানো হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত মোষের মালিক আসেননি।’’ পূর্বস্থলী থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মোষ তো আর থানায় আনা যায় না। যেহেতু মোষ পালন করা হয়, তাই বন দফতরও দায়িত্ব নেবে না। মোষের মালিকের খোঁজ পেতে আশপাশের থানাকে জানানো হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy