Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

ভুয়ো ডিগ্রি নিয়ে ডাক্তার বিজেপি নেতা

বিজেপির মহিলা মোর্চার জেলা সভাপতি ছন্দা কর্মকারের অভিযোগ, বিজেপি নেতা সুশান্ত পাণ্ডের প্রেসক্রিপশনে লেখা আর বোর্ডে লেখা ডিগ্রি এক নয়। ডিগ্রির সত্যতা যাচাইয়েরও দাবি তুলেছেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৭ ০০:৩০
Share: Save:

ভুয়ো চিকিৎসক নিয়ে পরপর অভিযোগ উঠছিলই। এ বার বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ভুয়ো ডাক্তারির অভিযোগ আনলেন দলেরই নেত্রী।

বিজেপির মহিলা মোর্চার জেলা সভাপতি ছন্দা কর্মকারের অভিযোগ, বিজেপি নেতা সুশান্ত পাণ্ডের প্রেসক্রিপশনে লেখা আর বোর্ডে লেখা ডিগ্রি এক নয়। ডিগ্রির সত্যতা যাচাইয়েরও দাবি তুলেছেন তিনি। মহকুমা প্রশাসনের দাবি, অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কালনা শহরের সাত নম্বর ওয়ার্ডে লালবাগান পাড়ার দীর্ঘ দিনের বাসিন্দা সুশান্তবাবু। একসময় তিনি দলের জেলা সম্পাদকের দায়িত্বও সামলেছেন। বাড়ির সামনের একটি ঘরেই রোগী দেখেন তিনি। সোমবার অতিরিক্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক, মহকুমাশাসক, কালনা থানার ওসি ও পুরপ্রধানের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে অভিয়োগ করেন ছন্দাদেবী। একপাতার অভিযোগপত্রের সঙ্গে দেওয়া হয় সুশান্তবাবুর দুটি প্রেসক্রিপশন। অভিযোগে জানানো হয়েছে, সুশান্তবাবু চিকিৎসার পাশাপাশি নিজে ওষুধ বিক্রি করেন। চেম্বারের শো-কেসেই সে সব ওষুধ সাজানো থাকে। এমনকী, ডেথ সার্টিফিকেটও দেন তিনি। ছন্দাদেবীর দাবি, সুশাম্তবাবুর প্রেসক্রিপশনে বিএইচএমএস, এমডি (এ এম) (ক্যাল), এমএএমএস, ইসি, এইচ (ক্যাল)-সহ বেশ কিছু ডিগ্রি লেখা রয়েছে। অথচ চেম্বারের সামনের বোর্ডে লেখা রয়েছে গ্রামীণ চিকিৎসক। মহিলা মোর্চার জেলা সভাপতির দাবি, তিনি দীর্ঘ দিন সুশান্তবাবুকে চেনেন। পড়াশোনায় মোটেই ভাল ছিলেন না তিনি। এত ডিগ্রি কী ভাবে পেয়েছেন তা নিয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলেও তাঁর দাবি। এ ছাড়া সুশান্তবাবুর চেম্বারে চড়া টাকার বিনিময়ে ভ্রুণহত্যা, হোমিওপ্যাথি ডিগ্রি নিয়ে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করা হয় বলেও তাঁর অভিযোগ। মঙ্গলবার ছন্দাদেবী বলেন, ‘‘সুশান্তবাবু দলের লোক হলেও তাঁর পেশা নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে। প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করুক।’’

এ দিন বাড়িতে অবশ্য সুশান্তবাবুকে পাওয়া যায়নি। টেলিফোনে তিনি বলেন, ‘‘২৫ মে দলের লালবাজার অভিযানে পুলিশের লাঠিতে আঘাত পেয়েছিলাম। চিকিৎসার প্রয়োজনে বেঙ্গালুরুতে এসেছি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি যে পরিকল্পনা মাফিক তা বাচ্চারাও জানে।’’ প্রশাসনের পাশাপাশি দলকেও বিষয়টি দেখার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

কালনার পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ জানান, অভিযোগে যথাযথ তদন্তের জন্য মহকুমাশাসক এবং এসিএমওএইচকে জানানো হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া শাস্তি হবে বলেও তাঁর দাবি। কালনার মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘‘এক জন ম্যাজিস্ট্রেট এবং এসিএমওএইচকে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE