সোমবার বিকেলে বণিকসভার কার্যালয়ে এডিডিএ-র সিইও তথা আসানসোলের অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত ও ব্যবসায়ীরা বৈঠকে বসেন। সুমিতবাবুর সঙ্গে ছিলেন এডিডিএ-র আধিকারিক সঞ্জয় সাহানা ও চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী।
ওই দিনের বৈঠকে বণিকসভার সদস্যরা অজয়ের দরবারডাঙা ঘাটে পাকা সেতু তৈরির কাজ দ্রুত শুরু করার আবেদন জানান। তাঁরা জানান, ওই ঘাটে বর্তমানে একটি অস্থায়ী সেতু থাকলেও বর্ষার সময় তা ব্যবহার করা যায় না। এর ফলে প্রায় মাস চারেক ধরে ওই সেতু দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসায়ীদের দাবি, সেতুটি পাকা হলে বীরভূম-সহ পড়শি জেলাগুলি এবং ঝাড়খণ্ডের সঙ্গেও যোগাযোগ সহজ হবে। সব্জি, বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পরিবহণেও আর সমস্যা থাকবে না।
বৈঠকে জামুড়িয়া বাজারের পরিকাঠামোগত বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়। ব্যবসায়ীরা জানান, এই বাজারে শৌচাগার না থাকায় ফি দিনই সমস্যায় পড়েন ক্রেতা-বিক্রেতারা। তা ছাড়া পার্কিং জোন না থাকায় রাস্তার উপরেই দাঁড়িয়ে থাকে গাড়ি। এর ফলে ব্যস্ত সময়ে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়।
জামুড়িয়া থেকে বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার বিভিন্ন এলাকার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে বাস চলাচলের দাবিও জানান ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের দাবি, আসানসোল পুরনিগমের মধ্যে জামুড়িয়া অন্তর্গত হওয়ার পরে হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্সের ফি আগের থেকে প্রায় পনেরো গুণ বেড়েছে। ওই দিনের বৈঠকে এডিডিএ-র আধিকারিকদের কাছে শুল্ক কমানোর দাবি জানানো হয় বলে ব্যবসায়ীরা জানান। এ ছাড়া গরমের সময় পুরো এলাকাতেই শুরু জলের সমস্যা। ব্যবসায়ীদের দাবি, গরমের সময় প্রতি দিনই প্রায় দেড়শো ট্যাঙ্কার করে জল কিনতে হয়। জলের সমস্যার সমাধান না হলে জামুড়িয়া শিল্পতালুকে নতুন শিল্প আসবে না বলেও ওই বৈঠকে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা।
বৈঠক শেষে বণিকসভার তরফে অজয় খেতান বলেন, ‘‘সিইওকে আমাদের কথা শোনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। সমস্ত সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। এখন দেখা যাক কত দিনে সমস্যা সমাধান হয়।’’ ব্যবসায়ীদের দাবি, সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন সুমিতবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy