দুষাদপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র
‘বাংলা আবাস যোজনা’য় টাকা পেয়ে বাড়ি তৈরি করেছেন এক উপভোক্তা। কিন্তু বাড়ি তৈরির পরে, অন্য উপভোক্তার নাম লিখে বোর্ড টাঙানো হয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জের বল্লভপুর পঞ্চায়েতের ১ নম্বর সংসদের রঘুনাথচক দুষাদপাড়ায়।
বল্লভপুরের রঘুনাথচক দুষাদপাড়ার বাসিন্দা, পেশায় গাড়ি চালক কৃষ্ণ হরিজন জানান, ২০১৮-য় পঞ্চায়েত কার্যালয়ে যোজনায় বাড়ি তৈরি করার আবেদন জানিয়েছিলেন। কৃষ্ণবাবুর অভিযোগ, “শুক্রবার পঞ্চায়েত কার্যালয় গিয়ে প্রকল্পের টাকা কবে পাব, তা জানতে চাইলে এক আধিকারিক জানান, আমার নামে বাড়ি তৈরির টাকা পাঠানো হয়েছে। বাড়িও তৈরি হয়ে গিয়েছে। পরে, পাড়ায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, গোলাপিদেবী হরিজন প্রকল্পের টাকা পেয়ে বাড়ি তৈরি করেছেন। অথচ, তাঁর বাড়ির সামনে বোর্ডে আমার ও আমার স্ত্রীর নাম লেখা।’’ বিষয়টি নিয়ে তিনি পঞ্চায়েতে অভিযোগ করেছেন বলে জানান।
এ দিকে, ‘বাংলা আবাস যোজনা’র উপভোক্তা গোলাপিদেবী সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে জানান, তিনি বাড়ি তৈরির জন্য সম্পূর্ণ টাকা পেয়েছেন। কিন্তু মাস চারেক আগে পঞ্চায়েতের কর্মীরা তাঁর বাড়ির সামনে অন্যের নাম লেখা বোর্ড লাগাতে এলে তিনি আপত্তি জানান। কিন্তু তাঁর দাবি, “আপত্তি না শুনে প্রায় জোর করে ওই বোর্ড টাঙানো হয়।’’
এ দিকে, ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা প্রকল্পের উপভোক্তাকে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার যৌথ ভাবে উপভোক্তাদের নামের তালিকা তৈরি করে। তার পরে সেই তালিকার ভিত্তিতে ২০১৬-য় পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ‘গ্রামসভা’য় তালিকা অনুমোদন করা হয়। এর পরে পঞ্চায়েত থেকে ‘পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্ট (পিওএল)’ তৈরি করা হয়। তা দেখে ব্লক প্রশাসন উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠায়।
তা হলে কী ভাবে ‘ঘটল’ এই ঘটনা? পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান সিধান মণ্ডলের দাবি, ‘‘ব্লক প্রশাসন থেকে পঞ্চায়েতের কাছে যে নামে বোর্ড টাঙানোর নির্দেশ দেয়, পঞ্চায়েত সে নির্দেশ পালন করে মাত্র। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।’’ তবে, শনিবার বিকেলে বিডিও (রানিগঞ্জ) অভীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘এ নিয়ে অভিযোগ আসেনি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।’’
পাশাপাশি, স্থানীয় সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্য রাখী পাসোয়ানের অভিযোগ, ‘‘আমাদের অন্ধকারে রেখে গ্রামসভার বৈঠক হয়। প্রশাসনিক গাফিলতি স্পষ্ট। বাড়ির বাইরে উপভোক্তার ক্রমিক সংখ্যা দেওয়া থাকে। এ ক্ষেত্রে সেটাও নেই।’’ বিডিও যদিও বলেন, “গাফিলতির অভিযোগের বিষয়টি প্রয়োজনে তদন্ত করে দেখা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy