ওই বোতল। নিজস্ব চিত্র
রেস্তোরাঁয় পচা মাংস, রসগোল্লায় পোকার পর এ বার ঠাণ্ডা পানীয়ের বোতলে মিলল ছত্রাক। শুক্রবার ক্রেতা, বিক্রেতা উভয়েই স্থানীয় ওই ঠান্ডা পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থার নামে নালিশ করেন জেলাশাসকের কাছে। জেলা প্রশাসনের তরফে বিষয়টি জানানো হয় বর্ধমান থানাতেও।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ। বীরহাটা এলাকার একটি দোকান থেকে ১০ টাকা দাম দিয়ে প্লাস্টিকের বোতলে থাকা ওই ঠাণ্ডা পানীয় কেনেন বড়নীলপুরের বাসিন্দা মানবেন্দ্র শীল। তাঁর দাবি, কেনার পরেই দেখেন সিল করা বোতলের মধ্যে ভাসছে শ্যাওলা জাতীয় কিছু রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বিক্রেতা সায়ন অধিকারীকে বিষয়টি জানান তিনি। দোকানদারও দেখেন অভিযোগ সত্যি। এরপরেই ওই বোতল নিয়ে তাঁরা হাজির হয়ে যান জেলাশাসকের দফতরে।
সেখানে লিখিত অভিযোগ করে ক্রেতা মানবেন্দ্রবাবু জানান, বোতলটি কেনার পরে তিনি দেখেন ভিতরে কালো রঙের শ্যাওলা জাতীয় কিছু ভাসছে। বিক্রেতা সায়নবাবুর দাবি, ‘‘যে কোম্পানির কাছ থেকে ওই ঠাণ্ডা পানীয় নিচ্ছি দোষ তাঁদের। তাঁরা যাতে খারাপ জিনিস বাজারে বিক্রি করতে না পারে তাই জেলাশাসককে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ বোতলটি এ বছরেরই জুন মাসে তৈরি।
এর আগে ভাগাড় কান্ডের সময় বর্ধমানের এক রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে পচা খাবার পাওয়া গিয়েছিল। একটি নামী হোটেলের লাইসেন্সও বাতিল করে বর্ধমান পুরসভা। কয়েকদিন আগে রসগোল্লাতেও মিলেছিল পোকা। সেই ঘটনাতেও নালিশ হয় প্রশাসনে। এ দিন ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। সুব্রত হালদার, সৌমেন লাহাদের ক্ষোভ, ‘‘সব জিনিসে ভেজাল থাকলে মানুষ খাবে কি। প্রশাসনের উচিত নিয়মিত অভিযান চালানো।’’
জেলা প্রশাসনের দাবি, বিষয়টি দেখা হবে। অভিযোগকারীদের থানায় লিখিত ভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy