ধসের পরে। ছাতিমডাঙায় নিজস্ব চিত্র।
প্রায় ছ’বছর পেরোতে চললেও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হয়নি। অথচ, আবার ধসের আতঙ্ক ফিরল জামুড়িয়ার ছাতিমডাঙায়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ওই এলাকায় ধস শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ মাটিতে কিছু ফাটল দেখা যায়। রাত ৮টা নাগাদ আচমকা শব্দ শুনে বাইরে বেরিয়ে তাঁরা দেখেন, বসতির অদূরে বেশ কিছুটা মাটি বসে গিয়েছে। তাতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। কয়েক জন কাউন্সিলর-সহ এলাকার নেতারা ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা এলাকাবাসীকে সেখান থেকে সরে যেতে আবেদন করেন।
২০১১ সালের ২ মে রাতে শ্রীপুর এরিয়ার অন্তর্গত এই ছাতিমডাঙায় মাঝরাতে ধসের জেরে দু’টি বাড়ির দেওয়াল ভেঙে মৃত্যু হয়েছিল ৫ জনের। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেই সময়ে ইসিএল কর্তৃপক্ষ এবং এডিডিএ এলাকার ৫০টি পরিবারকে পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দা রঘুবর নুনিয়া, রাকেশ নুনিয়াদের ক্ষোভ, তার পরে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে বসতি এলাকার অদূরে ফাঁকা মাঠে অজস্র ফাটল দেখা দিয়েছে। তাঁরা সব সময়েই আতঙ্কে রয়েছেন।
রঘুবরবাবু দাবি করেন, “মঙ্গলবার সকালে এডিডিএ এবং ইসিএল কর্তৃপক্ষকে ফোন করে আতঙ্কের কথা জানিয়েছিলাম। দ্রুত কোনও ব্যবস্থা না হলে আরও কত জনের মৃত্যু হবে, সেটাই সকলের চিন্তা।’’ বাসিন্দাদের দাবি, ইসিএল কয়লা কেটে নেওয়ার পরে নিয়ম মেনে ভূগর্ভে বালি ভরাট না করায় এমন অবস্থা হয়েছে। পুনর্বাসন না মেলায় তাঁদের পক্ষে অন্য কোথাও সরে যাওয়ায় সম্ভব নয় বলে জানান তাঁরা।
শ্রীপুর এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার শিবপুজন ঠাকুর জানান, প্রায় ১২ বছর আগে এই এলাকায় কোলিয়ারি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০১১ সালে অবৈধ ভাবে কয়লা তোলার ফলেই ধস নেমেছিল। এ বারও সেই একই কারণে ধস নেমে থাকতে পারে বলে তাঁদের অনুমান। ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, “২০১১-র ঘটনার পরে আমরা অস্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছিলাম। স্থায়ী পুনর্বাসন প্রকল্প শুরু হলে ওই এলাকার মানুষকে ঠিক জায়গায় পুনর্বাসন দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy