ধৃত বিডিও
তেজস্ক্রিয় পদার্থ বিক্রির কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে এক অবসরপ্রাপ্ত ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও)। ওই কারবার সম্পর্কে গোপন সূত্রে খবর পেয়েই আগেই চার জনকে গ্রেফতার করেছিলন পুলিশ। উদ্ধার হয়েছিল তেজস্ক্রিয় পদার্থটি। এর পর ধৃতদের জেরা করেই বি়ডিওর সম্পর্কে জানা যায়। শনিবার রাতে হুগলির শ্রীরামপুর থানার প্রভাসনগর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। রবিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।পুলিশ সূত্রে খবর, ওই অবসরপ্রাপ্ত বিডিওর নাম সুধন্য দে। অরুণাচলের বিডিও ছিলেন সুধন্য। হুগলির হরিপাল থানার বাহিরখণ্ডের পশ্চিমপাড়ায় তাঁর বাড়ি। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় সুধন্য দাবি করেছেন, রাজারহাটের এক ব্যক্তি তাঁকে ওই তেজস্ক্রিয় পদার্থটি দিয়েছিলেন বিক্রির জন্য। দীর্ঘ দিন ধরেই প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী কেনাবেচায় ওই ব্যক্তি জড়িত বলে পুলিশকে জানিয়েছেন সুধন্য।
ওই তেজস্ক্রিয় পদার্থের কেনাবেচা করতে গিয়ে আগের সপ্তাহে শনিবার রাতে বর্ধমান শহরের পারবীহাটা এলাকা থেকে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের নাম আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, নিমাই দাস ও পার্থ পাল। তাঁদের থেকে উদ্ধার হয় ৯৪৩ গ্রাম ওজনের ওই তেজস্ক্রিয় পদার্থটি। সেটি উদ্ধারের পর পাঠানো হয় কলকাতার ভাবা অ্যাটোমিক রিসার্চ সেন্টারে। এর পর ওই তিন ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, তেজস্ক্রিয় পদার্থটি এক জনকে ৫০ লক্ষ টাকায় বিক্রির উদ্দেশ্য ছিল তাঁদের। জেরায় এই কারবারের সঙ্গে জড়িত আরও এক ব্যক্তির খোঁজ পায় পুলিশ। শ্রীরামপুরের বাসিন্দা শিউজি পাণ্ডে নামে ওই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়।
সেই শিউজিকেই গ্রেফতার করে সুধন্যের এই কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা জানতে পারে পুলিশ। শনিবার শিউজির ছেলের সঙ্গে দেখা করতে প্রভাসনগরে গিয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিডিও। সেই সময়েই তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে হাজির করানো হয়। তদন্তকারীদের আবেদন মঞ্জুর করেই সুধন্যকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy