Advertisement
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
Arjun Sing

Arjun Singh: ভুল বুঝে বিজেপিতে গিয়েছিলাম, এসি ঘরে বসে রাজনীতি চলে না! খোঁচা অর্জুনের

তৃণমূলে ফিরেই বিজেপিকে আক্রমণ অর্জুনের। রাজ্য বিজেপির সংগঠন এবং পাটশিল্প নিয়ে একের পর এক তোপ দেগেছেন তিনি।

সাংবাদিক বৈঠকে অর্জুন সিংহ।

সাংবাদিক বৈঠকে অর্জুন সিংহ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২২ ১৮:৩৮
Share: Save:

তৃণমূলে ফিরেই বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ। রাজ্য বিজেপি ঘরে বসে রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যের পাটশিল্পের সমস্যা নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে একের পর এক অভিযোগের তিরে বিঁধেছেন অর্জুন।
রবিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটে অর্জুনের। এর পর রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক-সহ কয়েক জনের উপস্থিতিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন অর্জুন। সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সাংসদ বলেন, ‘‘ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছি। ভুল বোঝাবুঝিতে দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলাম। ব্যারাকপুরের সাংসদও হয়েছিলাম। কিন্তু রাজ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই পাটশিল্পের সমস্যা রয়েছে। এই শিল্প অবহেলার শিকার হয়েছে। রাজ্যের ৬২টি জুট মিলের মধ্যে বেশ কয়েকটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বোঝাতে চেষ্টা করেছি অনেক। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত নভেম্বর মাসে পাটকল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি এই শিল্পে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। এই খবরটা পাওয়ার পর থেকে আমি লড়াই শুরু করে দিই দিল্লি সরকারের বস্ত্রমন্ত্রকের বিরুদ্ধে। সামান্য, ২৫ শতাংশ আদায় করতে পেরেছি। কিন্তু ৭৫ শতাংশ বাকি রয়েছে। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যদি লড়াই না লড়তে পারি তা হলে আমাদের আরও ক্ষতি হবে।’’

রাজ্যে বিজেপির সংগঠন নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অর্জুন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘শুধু ফেসবুকে সংগঠন করা যায় না। স্রেফ এসি ঘরে বসে রাজনীতি করা যায় না। মাঠে ময়দানে নেমে রাজনীতি করতে হবে। আমরা এক সময় তৃণমূলস্তরে নেমে লড়াই করে সিপিএমকে হারিয়েছি। এই জন্যই রাজ্য বিজেপির গ্রাফ নামছে। বাংলার উন্নয়নকে কিছু মানুষ রাজনীতি করে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তখন আমার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। এর পর তাঁদের সঙ্কেত পেয়ে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসি।’’

২০১৯ সালে বিজেপির প্রতীকে জিতেছিলেন অর্জুন। তাঁর কি সাংসদ হিসাবে পদত্যাগ করা উচিত নয়? এই প্রশ্নের উত্তরে অর্জুনের স্পষ্ট জবাব, ‘‘সাংসদ হিসাবে অবশ্যই আমার পদত্যাগপত্র দেওয়া উচিত। কিন্তু বিজেপিতে আজও দু’জন সাংসদ আছেন যাঁরা তৃণমূলের প্রতীকে জিতেছিলেন। কিন্তু এখনও তাঁরা পদত্যাগপত্র দেননি। তাঁরা পদত্যাগ করলে আমি তখনই দিল্লি গিয়ে পদত্যাগ করব। আমার এক ঘণ্টা সময় লাগবে না।’’ পুরনো শিবিরে ফিরে আগামিদিনে দলনেত্রীর নেতৃত্বে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অর্জুন।

অর্জুনের দলবদল নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক পার্থ বলেন, ‘‘ব্যারাকপুরের সাংসদ আবার পুরনো অবস্থানে ফিরে এসেছেন। জন্মলগ্ন থেকেই তিনি তৃণমূলে ছিলেন। যে কোনও কারণেই হোক ২০১৯ সালের আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়ে সাংসদ হয়েছিলেন। তিনি উপলব্ধি করেছেন, বাংলার উন্নয়ন এবং জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাসঙ্গিকতা অনস্বীকার্য। তাই তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।’’ অর্জুনের প্রত্যাবর্তনকে সামনে রেখে আগামী ৩০ মে বিকেল ৪টেয় জগদ্দলে জনসভাও করতে চলেছেন অভিষেক।

অন্য বিষয়গুলি:

Arjun Sing TMC BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy