রুট নির্দিষ্ট হলেও অনেক সময়েই মিনিবাস মালিকেরা অভিযোগ করেন, তাঁদের যাত্রী ভাঙিয়ে নিচ্ছে অটো। এই অভিযোগের পরে মিনিবাস পরিবহণে এ বার নোট বাতিলের চোটে নতুন সঙ্কট। আসানসোল মহকুমার বাস মালিকদের সংগঠন জানায়, নোট-বাতিলের ঘোষণার এক মাসের মধ্যে বিভিন্ন রুটের ৬৮টি বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় ১৩৬ জন পরিবহণ কর্মী।
সমস্যাটা কী রকম? চুরুলিয়া-বরাকর রুটের একটি বাসে চেপে দেখা গেল এক যাত্রী ১০ টাকার কয়েন দিলেন কন্ডাক্টরকে। কন্ডাক্টর তা নিতে নিমরাজি দেখেই শুরু হল বিবাদ। একই ছবি বার্নপুর-রিভারসাইড রুটের একটি বাসেও। সেখানে এক যাত্রী খুচরো না থাকায় পকেট থেকে দু’হাজার টাকার নোট বের করলেন। উপায় না দেখে ভাড়া না নিয়েই নির্দিষ্ট স্টপেজে সেই যাত্রীকে নামিয়ে দিতে বাধ্য হলেন কন্ডাক্টর। ডিহিকার জোত্স্না বড়ুয়া, কল্যাণপুরের কর্মী প্রবীর চট্টোপাধ্যায়, গাড়ুই গ্রামের গৌতম তিওয়ারিরা জানান, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাঙ্ক-এটিএমে দু’হাজারের নোট মিলছে। খুচরো নিয়ে বিবাদের বাসে উঠতেই ভয় হচ্ছে।
আসানসোল মহকুমা মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে মেজিয়া, চিনাকুড়ি, সেনর্যালে, কাল্লা-দোমহানি-হরিপুর, আসানসোল থেকে বরাকর, রানিগঞ্জ, কোয়ারডিহি, কল্যাণপুর, জেকে নগর, শ্রীপুর, তিরাট, বাগডিহা, বার্নপুর-রিভারসাইড, চিনাকুড়ি-শীতলপুর, ডিসেরগড় ভায়া শীতলপুর রুটে মোট ৬৮টি বাস চলাচল করে দিতে হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ রায় বলেন, “চূড়ান্ত সঙ্কটের মধ্যে আমরা। এর পরে ডিজেলের দাম বাড়লে আরও বাস তুলে নিতে হবে আমাদের।’’
এই পরিস্থিতিতে সব থেকে সঙ্কটে পড়েছেন ওই ৬৮টি বাসের ড্রাইভার, কন্ডাক্টরেরা। তেমনই দু’জন কন্ডাক্টর লালু গুপ্ত, দুর্গা বেজ জানান, এক মাসে মাত্র ১২ দিন কাজ পেয়েছেন, তাও কারও বদলি হিসেবে। তাঁর কথায়, ‘‘দিনে ১২২ টাকার মতো পাই। এ রকম চলতে থাকলে কয়েক দিন পরে ঘরে হাঁড়ি চড়বে না।’’ এই মুহূর্তে ফি দিন প্রায় চারশো টাকার মতো কম আয় হচ্ছে বলে জানান বাস মালিক মিন্টু সিংহ, গোপাল দত্তেরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy