ধৃতদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
চোর সন্দেহে ফেরিওয়ালাদেরও মারধর করা হয়। খবর পেয়ে উদ্ধারে যায় পুলিশ। গণপিটুনির এই ‘ট্রেন্ড’ প্রশাসনের কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানার আলমপুরে চোর সন্দেহে মারধর করা হয় কয়েক জন ফেরিওয়ালাকে। আক্রান্তদের উদ্ধার করতে গিয়ে এলাকাবাসীর আক্রমণের মুখে পড়ে পুলিশও। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঘটনার পুলিশ ১৪ জনকে গ্রেফতার করে শুক্রবার বর্ধমান আদালতে পাঠিয়েছে। জেলা পুলিশসুপার আমন দীপ বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতে চার জনকে চোর সন্দেহে গ্রামবাসীদের একাংশ ঘিরে ধরে মারধর শুরু করেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। আক্রান্ত চার জনকে উদ্ধার করা হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আক্রান্তদের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁরা এখানে বাড়িভাড়া করে ব্যবসা করেন। প্লাস্টিকের চেয়ার-টেবিল ফেরি করেন এলাকায় এলাকায়।’’
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গ্রামের উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপরেও চড়াও হয়েছিল। পুলিশের গাড়িতেও হামলা হয়। তাতে এক জন পুলিশকর্মী সামান্য জখম হন। চিকিৎসা করার পর পুলিশকর্মী এখন ভাল আছেন। তবে একের পর এক এমন ঘটনায় আরও বেশি করে সচেতনতামূলক প্রচার করতে হবে জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, কয়েক জন লোক আলমপুর গ্রামে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তাঁদের অভিযোগ, রাতে গ্রামেরই এক জনের বাড়িতে তাঁরা চুরি করতে ঢোকেন। বাড়ির লোক জন তাঁদের দেখে চিৎকার-চেঁচামেচি করলে গ্রামের মানুষ জন জড়ো হয়ে তাঁদের ধরে ফেলেন। তবে পুলিশকে মারধর বা আক্রমণের বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দারা অস্বীকার করেছেন। এখন ওই গ্রামে পুলিশি টহল চলছে। পুলিশি ধরপাকড়ের ভয়ে গোটা গ্রাম সুনসান। দোকাপাট সবই প্রায় বন্ধ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy