প্রধান শিক্ষককে ঘিরে চলছে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
জ্বালানি কাঠের অভাবে মিড-ডে মিল হয়নি স্কুলে। তার বদলে দেওয়া হয়েছিল শিঙাড়া। আর তাতেই বিপত্তি। আগের দিন বাড়ি নিয়ে যাওয়া শিঙাড়ায় আস্ত আরশোলা মিলেছে, এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দীর্ঘক্ষণ স্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। তবে দুর্গাপুরের রাতুড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, আর যাতে এমনটা না হয় সেদিকে নজর রাখা হবে।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষায় প্রায়ই শুকনো জ্বালানি কাঠের অভাব হচ্ছে। স্কুলে যিনি কাঠ সরবরাহ করেন লাগাতার বৃষ্টিতে অধিকাংশ দিনই শুকনো কাঠ দিতে পারছেন না তিনি। ফলে বন্ধ রাখতে হচ্ছে মিড-ডে মিলের রান্না। মঙ্গলবারও সেই কারণেই রান্না বন্ধ ছিল। প্রধান শিক্ষক শেখ মুজাফর আলি জানান, মিড-ডে মিলের জন্য পড়ুয়া পিছু যা ধার্য্য থাকে তাতে সবার জন্য শিঙাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেইমতো এক শিক্ষককে দায়িত্ব দেন প্রধান শিক্ষক। স্কুলে ৫৩ জন পড়ুয়ার মধ্যে শিঙাড়া বিলি করা হয়। অনেকে স্কুলে সিঙাড়া খেয়ে নিলেও বেশ কয়েকজন পড়ুয়া তাদের ভাগের সিঙাড়া বাড়িতে নিয়ে যায় খাওয়ার জন্য। বিপত্তি ঘটে সেখানেই। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র অজয় মণ্ডলের বাবা অক্ষয় মণ্ডলের দাবি, ছেলে বাড়িতে এসে শিঙাড়াটি খেতে গিয়ে দেখে ভিতরে কিছু একটা রয়েছে। তখনই সে সিঙাড়াটা মাকে দেখায়। অক্ষয়বাবু বলেন, “শিঙাড়া দেখেই আমাদের চক্ষু চড়কগাছ। দেখি সিঙাড়ার মধ্যে আস্ত একটা আরশোলা। ছেলের মুখের ভিতরে যে অংশটি ছিল সেটিকেও মুখ থেকে ফেলে দিতে বলি।” এরপরেই অক্ষয়বাবুরা সিদ্ধান্ত নেন বুধবার সকালে স্কুলে গিয়ে শিঙাড়াটি দেখানো হবে। ঘটনাটি পড়শিদেরও জানান তিনি। ফলে অনেকেই আর তাদের ছেলেমেয়েদের ওই শিঙাড়া খেতে দেননি।
এ দিন সকালে বেশ কয়েকজন অভিভাবক ওই প্রাথমিক স্কুলে শিঙাড়া সমেত হাজির হন। প্রধান শিক্ষককে ওই শিঙাড়া দেখিয়ে তা কোথা থেকে আনা হয়েছিল জানতে চান তাঁরা। প্রধান শিক্ষক শেখ মুজাফর আলি অভিভাবকদের জানান, স্কুলের এক শিক্ষককে শিঙাড়া আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে বুধবার তিনি স্কুলে না আসায় শিঙাড়া কোথা থেকে আনা হয়েছিল তা জানা যায়নি। এরপরেও অভিভাবকেরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। শেষে প্রধান শিক্ষক ভবিষত্যে এমন ঘটনা না ঘটার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy