Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

দুই এমপিএস কর্তার জেল-হাজত

লগ্নি সংস্থা এমপিএসের কর্ণধার প্রমথনাথ মান্না এবং ডিরেক্টর প্রবীর চন্দকে ছ’দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দিল দুর্গাপুর আদালত। দুর্গাপুরের আমানতকারীদের দায়ের করা একাধিক প্রতারণার অভিযোগে তাঁদের এর আগে আট দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। মঙ্গলবার ফের তাঁদের আদালতে তোলা হয়। এ দিনও আমানতকারীরা আদালতে লগ্নি সংস্থার ওই দুই কর্তাকে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

দুর্গাপুর আদালতে এমপিএস কর্ণধার প্রমথনাথ মান্না। —নিজস্ব চিত্র।

দুর্গাপুর আদালতে এমপিএস কর্ণধার প্রমথনাথ মান্না। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৪৪
Share: Save:

লগ্নি সংস্থা এমপিএসের কর্ণধার প্রমথনাথ মান্না এবং ডিরেক্টর প্রবীর চন্দকে ছ’দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দিল দুর্গাপুর আদালত। দুর্গাপুরের আমানতকারীদের দায়ের করা একাধিক প্রতারণার অভিযোগে তাঁদের এর আগে আট দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। মঙ্গলবার ফের তাঁদের আদালতে তোলা হয়। এ দিনও আমানতকারীরা আদালতে লগ্নি সংস্থার ওই দুই কর্তাকে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে আগের দিনের তুলনায় এ দিন তাঁরা সংখ্যায় কম ছিলেন। তবে কলকাতা থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন সংস্থার আমানতকারীদের সংগঠনের সভাপতি কিঞ্জল ভট্টাচার্য।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ নভেম্বর প্রমথনাথবাবু, সংস্থার পাঁচ ডিরেক্টর এবং পরিচালনমণ্ডলীর ন’জন সদস্যের বিরুদ্ধে নিউটাউনশিপ থানায় প্রতারণার অভিযোগ করেন আমানতকারীরা। ১৫ নভেম্বর আরও কিছু আমানতকারী প্রমথনাথবাবু এবং দশ জন এজেন্টের বিরুদ্ধে দুর্গাপুর থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ করেন। তাঁদের অভিযোগ, ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের মাসিক টাকা ফেরত বন্ধ গত বছরের জুলাই থেকে। মেয়াদ শেষ হলেও আমানত ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। বারবার আবেদন জানিয়েও ফল হয়নি। ১৭ নভেম্বর বাঁকুড়া থেকে প্রমথনাথবাবু এবং প্রবীরবাবুকে দুর্গাপুর আদালতে আনা হয়।

আমানতকারীদের সংগঠনের সভাপতি কিঞ্জলবাবু অভিযোগ করেন, ১৩-১৪ লক্ষ আমানতকারী প্রতারিত হয়েছেন এমপিএসের কাছে। আর্থিক প্রতারণা প্রায় এক হাজার আটশো ষাট কোটি টাকা। তাঁর দাবি, “সংস্থার বাকি ডিরেক্টর এবং কর্তা-ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। ফলে, তাঁরা তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে পারেন বলে আমাদের আশঙ্কা। সেক্ষেত্রে আমানতকারীদের প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়বে।” তাঁর আরও দাবি, সেবি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, সব জায়গায় তাঁরা লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। গত ২৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে সেবিকে এমপিএস-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বেশ কয়েকটি বেসরকারি লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিঞ্জলবাবুর ক্ষোভ, “তার পরেও এমপিএসের বিরুদ্ধে কোনও কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা শুধু আমানত ফেরত চাই।”

এমপিএসের একাধিক ডিরেক্টর অবশ্য দাবি করেন, আমানতকারীরা যত টাকা ফেরত পাবেন, তার থেকে সংস্থার বর্তমান সম্পত্তির মূল্য অনেক বেশি। কাজেই আমানতের টাকা ফেরত দিতে কোনও সমস্যা হবে না। সেবি এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সংস্থার সম্পত্তি ব্যবহারের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ছাড়পত্র পেলেই আমানত ফেরতের ব্যবস্থা করা হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

mps investment firm officers arrested
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE