বারাসতের একটি কালীপ্রতিমা। —ফাইল ছবি
বিসর্জন শেষ হয়ে গিয়েছে প্রায় সর্বত্রই। কিন্তু বিষাদের বদলে উল্টো হাওয়া বইছে বারাসত-মধ্যমগ্রামে।
কলকাতায় উৎসব মানে যদি দুর্গাপুজো হয়, চন্দননগরে যদি জগদ্ধাত্রীপুজো হয়, তা হলে কালীপুজো-দীপাবলির উৎসব মানেই বারাসত। তাল মিলিয়ে এখন মধ্যমগ্রাম, রাজারহাট, দমদমও কালীপুজোর চমকে নজর কাড়ছে। বিশ্বকর্মা পুজোর আগেই হয়ে গিয়েছে কালীপুজোর খুঁটি পুজো। ইতিমধ্যেই বড় ও মাঝারি পুজোগুলির মণ্ডপের কাজ চলছে পুরোদমে। ছোট-মাঝারি দুর্গাপুজো সামলে কালীপুজোর বিশাল মণ্ডপের কাজেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন উদ্যোক্তারা।
শুধু রাজ্যেরই নয়, বিদেশি অনেক মানুষও কালীপুজো উপলক্ষে চার-পাঁচ দিন ভিড় করেন বারাসতে। ভিড় সামাল দিতে আগেভাগেই নেমে পড়ে পুলিশ-প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দফতরের মতো অনেক বেসরকারি সংস্থাও পুজো দেখাতে দর্শনার্থীদের বারাসতে নিয়ে আসে।
বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাইরের অতিথিদের নিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাকুর দর্শনের জন্য থাকছে বাসের ব্যবস্থা। পুজোর সময়ে কোনও অশান্তি যাতে না হয়, সে জন্য ক্লাব-কর্মকর্তারাও সচেষ্ট থাকেন। পাশাপাশি, দর্শনার্থীদের পুজো দেখার জন্য সমস্ত সুযোগ-সুবিধার করে দিতে পুরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাস্তায় স্টল করা হবে। সেখানে থাকবেন পুরকর্মীরা।’’ বিভিন্ন রাস্তায় স্টল করে পরিষেবা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন এবং পুলিশও।
একে অপরকে টেক্কা দিয়ে দর্শক টানার জন্য বারাসতের বড় পুজো কমিটিগুলি নানা ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছে। আবার চমক দিতে প্রস্তুত নতুন পুজোগুলিও। ইতিমধ্যেই বারাসতের নবপল্লি বয়েজ স্কুল মাঠে সিকিমের চার ধাম তৈরি করে নজর টানছে ‘শ্রী শ্রী শ্যামাপূজা কমিটি’। এই পুজোর কর্ণধার অরুণ ভৌমিক বলেন, ‘‘এ বারই প্রথম পুজো করছি আমরা। বারাসতে কালী পুজোয় ক্রমশ দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। মানুষকে আরও ভালো পুজো উপহার দেওয়ার জন্যই আমরা নতুন পুজো করছি।’’
চমকের লড়াইয়ে রয়েছে কে এন সি রেজিমেন্ট, পায়োনিয়ার, রেজিমেন্ট, শতদল, নবপল্লি সর্বজনীন, নবপল্লি ব্যায়াম সমিতির মতো বড় পুজোও। উদ্যোক্তারাই জানালেন, ইতিমধ্যে মণ্ডপের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। পছন্দের থিমে এগিয়ে রয়েছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সৌধ। তবে শুধু সৌধ নয়, তুলে আনা হচ্ছে সেই সব এলাকার পুরো পরিবেশটাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy