সজল ঘোষ।
বাবা প্রদীপ ঘোষ ছিলেন কংগ্রেসের প্রথমসারির নেতা। রাজনৈতিক শিবির বদলে প্রথমে তৃণমূলে, তার পর বিজেপিতে যোগ দেন। বাবার দেখানো পথেই এ বার সজল ঘোষও যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে।
বাবা বিজেপিতে থাকলেও, এতদিন তৃণমূলেই ছিলেন সজল। যদিও নানা কারণে দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ছিল। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো এবং বছরভর নানা সামাজিক কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যেত সজলকে। নিজের আলাদা পরিচিতিও তৈরি করে ফেলেছেন উত্তর কলকাতাজুড়ে। বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতেই সজল-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল ছেড়ে দলে যোগ দেবেন।
সজলের স্পষ্ট বক্তব্য, “শুধু আমি নই, আমার সঙ্গে প্রায় হাজারজন বিজেপিতে যোগ দেবেন। তৃণমূল আমাকে ‘কম্পালসারি ওয়েটিং’-এ পাঠিয়ে দিয়েছে। প্রতিদিনই লোক ঠকাচ্ছে তৃণমূল। সে কারণে বিজেপিতে যোগ দিয়ে রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার কাজ করতে চাই।”
উত্তর কলকাতায় সিটি কলেজে পড়াশোনা করার সময়ই ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দেন সজল। তার পর ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি হন। পরবর্তীকালে বাবার সঙ্গেই তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। কলকাতা পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে উপনির্বাচনে কাউন্সিলর পদে লড়েছিলেন। দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ায়, আবার কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছিলেন বাবার সঙ্গে। তার পর ফের ২০১২ সালে তৃণমূলে ফিরে আসেন সজল। যদিও প্রদীপ ঘোষ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু শারীরিক কারণে রাজনীতিতে খুব একটা সক্রিয় ছিলেন না। ভোটের ঠিক আগে সজল যোগ দিলে উত্তর কলকাতার একাংশে বিজেপির জমি কিছুটা শক্ত হবে বলে মনে করছেন নেতৃত্ব।
সজলের কথায়, “আমার টিকিট কনফার্ম হবে কি না জানি না, তবে লোকঠকানো, মিথ্যাচার থেকে রেহাই দিতে বাংলার মানুষের পাশে থাকতে চাই। ২৪ তারিখ আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার সামনে হৃষীকেশ পার্ক থেকে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পর্যন্ত বিশাল মিছিলের আয়োজনে রয়েছেন সজল। আসতে পারেন তৃণমূল থেকে ছেড়ে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিজেপি নেতারা। ওই মিছিলেই বিজেপির পতাকা হাতে নিতে পারেন সজল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy